কলকাতা: চলতি মাসেই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। চৈত্র সংক্রান্তিতে অনুব্রত গড় বীরভূমে সভা রয়েছে অমিত শাহর। ১৪ এপ্রিল সিউড়িতে সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাংলায় সভা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর. ২০২৪-এর লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে সভা শুরু হওয়ার পথে অমিত শাহ-র। জানা গিয়েছে এবছর বাংলায় ১২টি সভা করার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।


প্রসঙ্গত, রাজ্যে এই মুহূর্তে রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়া, হুগলি অশান্তির পর ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শিবপুর, ডালখোলা, রিষড়ায় দফায় দফায় অশান্তি। বঙ্গ বিজেপির কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই রিপোর্ট তলব। পুলিশ কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেনি তা জানতে চেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, এমনই খবর সূত্রের। এ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছেন, সেখানে রাজ্য পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়েছে। হিংসার জন্য তিনি মূলত রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে দায়ি করেছেন। তার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি হনুমান জয়ন্তীর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে অশান্তি এড়াতে ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হয়।


রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে রবিবার অশান্ত হয় হুগলির রিষড়া। আর, সোমবার বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় কোন্নগরে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে, গত সোমবার দুপুরে কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। রিষড়া যাওয়ার পথে ফের আটকানো হয় সুকান্ত মজুমদারকে। শ্রীরামপুরে ধর্নায় যেতে বাধা দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। ডানকুনির জগন্নাথপুরে দিল্লি রোডে আটকে দেওয়া হয় সুকান্তর গাড়ি। পুলিশের দাবি, সামনে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই গাড়ি এগোতে দেওয়া যাবে না। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।


আরও পড়ুন, 'নিয়োগের নামে ৪০ কোটি তুলেছে অয়ন শীল', বিস্ফোরক তথ্য ED-র হাতে


রিষড়া স্টেশনে (Rishra Station) ট্রেন থেকে নামতেই বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও (Locket Chatterjee) আটকায় পুলিশ। তাঁকে এগোতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। কিন্তু, আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার দাবিতে অনড় থাকেন লকেট। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। পুলিশের বাধার মুখে রিষড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ধর্নায় বসে পড়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।