কলকাতা : নন্দন। যার নামকরণ করেছিলেন পরিচালক সত্যজিৎ রায়, নামাঙ্কনও করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, মুক্তির দিনে সেই নন্দনেই জায়গা পেল না সত্যজিতের ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির নেপথ্য কাহিনি অবলম্বনে অনীক দত্তর ছবি ‘অপরাজিত’! সেই প্রসঙ্গে শুরু হল রাজনৈতিক দল টানাটানি। কিছুটা চমকে দিয়েই, নন্দন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী। অন্যদিকে, নন্দনের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি নেত্রী।
'অপরাজিত' ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সায়নী। তাই এই ছবি নন্দ প্রেক্ষাগৃহে প্রথম সপ্তাহ থেকে না থাকায় ক্ষোভপ্রকাশই করেছেন তিনি। স্পষ্টতই তিনি বলেন, নন্দন কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত ফের বিবেচনা করা দরকার। তবে উল্টোদিকে গিয়েই, মন্তব্য করেন বিজেপি নেত্রী অঞ্জনা বসু। তাঁর দাবি, এভাবে দেখা হচ্ছে বিষয়টাকে। অনেক ছবিই তো প্রথম সপ্তাহ থেকে নন্দনে আসে না। সেই প্রসঙ্গে তিনি টেনে আনেন, তাঁর ছবি কিসমিসের কথা। বলেন, নন্দনে তো কিসমিসও প্রথম সপ্তাহে দেখানো হয়নি। পরে উপযুক্ত শো-টাইমে তা দেখানো হচ্ছে। অঞ্জনা বলেন, 'মনে হয় না, নন্দন এমন একটা ইতিহাস রচনাকারী ছবি দেখাবে না। পরে হয়ত উপযুক্ত শো টাইমে , প্রকৃত সম্মান দিয়েই প্রদর্শিত হবে ছবিটি।
এই প্রসঙ্গে দিলীপ আবার বলেন, ' আমি জানি না কী রাজনীতি চলছে ওখানে। দলের লোকেদের ছবিই প্রকাশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাংসদ দেবের সঙ্গেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এইভাবে শিল্প সাহিত্য কাব্য কলুষিত করা হয়।'
২০১৯ সালে প্রায় একই রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় ‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবিটি। প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। তখন প্রকাশ্যে পরিচালকের পাশে দাঁড়ান সায়নী। অভিনেত্রী সায়নী এখন শাসক দলের নেত্রী। ৩ বছরের ব্যবধানে ফের ছবির প্রদর্শন নিয়ে বিতর্ক। যে বিতর্কে সরকারি সরকারি প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন সায়নী।