হিন্দোল দে, সন্দীপ সরকার এবং পার্থপ্রতিম ঘোষ: আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর পর চারদিন পার। এখনও অধরা অভিযুক্তরা। আজ সকালে বাগনান থানার এসআই সৌমেন গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আনিসের বাড়িতে যায় আমতা থানার পুলিশ। আনিসের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়। আজই ময়নাতদন্তের সম্ভাবনা। 

এদিন আনিসের বাবার সঙ্গে কথা বলেন সৌমেন গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আমি সবার কাছেই জানতে চাইছি যে যদি আপনারা চান তাহলে আবার ময়নাতদন্ত করতে পারি। এক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের উপস্থিতিতেই হবে। যদি মনে করেন, আমার কথা যুক্তিযুক্ত মনে হয় তাহলে এই প্রস্তাব রইল।" আনিস খানের বাবা বলেন, "ময়নাতদন্ত আমি এখন করাব কি না সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক রিপোর্ট এক হলে আর কেন করাব। এখনও ফরেন্সিক রিপোর্ট পায়নি। আমার আগের রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ ছিল।"

এদিন আনিসের বাবা এও বলেন,   "চার দিন হয়ে গেল এখনও আসামি ধরা পড়ল না। তাই আমি চাইছি সিবিআই তদন্তের। তা ছাড়া ন্যায় বিচার সম্ভব নয়। এরা অন্যায় করলেও ধরবে না। ধরবে কেন পুলিশই তো আমার ছেলেকে মেরে গেল। এরাই আবার আসামিকে ধরবে?"  

ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে সিট গঠন করা হয়েছে। গতকাল আনিসের বাড়িতে যান সিটের সদস্যরা। ছাত্রনেতা আনিস খানের মোবাইল ফোন চেয়ে নোটিস দেওয়া হয়। তবে ফোন দিতে অস্বীকার করে পরিবার। সিবিআই বা আদালত চাইলে ফোন দেওয়া হবে বলে তারা জানায়। আনিস মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে আমতা থানার এক এএসআই, এক কনস্টেবল ও হোমগার্ডকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্তে খুশি নয় আনিসের পরিবার। ভরসা নেই রাজ্য পুলিশের ওপর, তাঁরা চান সিবিআই তদন্ত। 

অন্যদিকে, ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সিবিআই তদন্ত নিয়ে আনিসের দাদাকে হুমকি-ফোন। পরিবারের দাবি, গতকাল রাত ১টা ৪ মিনিটে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। হুমকি দেওয়া হয়, সিবিআই তদন্ত চাইলে সবাইকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আনিসের পরিবারের অভিযোগ, খুনে অভিযুক্তরাই ফোনে হুমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত আনিসের পরিবার। তবে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এই অডিও ক্লিপ সিবিআই বা আদালত চাইলে দেওয়া হবে আনিসের পরিবার জানিয়েছে। অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।