উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : হাওড়ায় এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে অশান্তি মামলায় দশদিন পর জেল থেকে ছাড়া পেলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। মীনাক্ষির সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া বাকি ১৫ জন বাম যুব কর্মীও জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। মীনাক্ষীদের মুক্তি উপলক্ষ্যে বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বাধল বিরোধ। চলল ধরপাকড়। এদিকে আনিস খানের খুনিরা ধরা না পড়া পর্যন্ত রাস্তায় নেমে আন্দোলন চলবে বলেই জানিয়েছেন মীনাক্ষী।
ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, 'আন্দোলন চলবে। ভয় পওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। যতদিন পর্যন্ত না আনিস খানের খুনিরা গ্রেফতার হচ্ছেন ছাত্রযুবরা পথে ছিল আছে থাকবে।' মাঝে জেলে থাকার প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'আন্দোলন করার পথে বামপন্থীদের জেল খাটার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু খারাপ লাগা এখানেই যে কারণে আমাদের একাধিক জনকে জেলে রাখা হল সেই দশদিনও কিন্তু আনিস খানের খুনিরা বুক চিতিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াল। পশ্চিমবঙ্গে ছাত্র-যুব ও সাধারণ মানুষের কাছে যা ভয়ঙ্কর তিক্ত এক অভিজ্ঞতা। আর মাঝে গোটা সময়টায় দেখেছি কীভাবে পুলিশের সক্রিয়তা লোপ পেয়ে যাচ্ছে।'
প্রসঙ্গত, আনিস খানের মৃত্যুতে দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাঁচলায় বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশের ওপর হামলায় ইন্ধনের অভিযোগে মীনাক্ষী সহ ১৬ জন বাম যুব নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন মীনাক্ষী ছাড়া পাওয়ার আগে তাঁর জন্য আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের সামনে জমায়েত করেছিলেন এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই-এর নেতাকর্মীরা। একই ভাবে জেলগেটের মুখে সক্রিয় ছিল পুলিশ। ছাড়া পেয়েই নতুন উদ্যমে আন্দোলনের ডাক দেন মীনাক্ষী।
বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের দাবি, মাধ্যমিক পরীক্ষা চলার কারণে কোনও মাইক ছাড়াই রাসবিহারী মোড়ে মীনাক্ষীকে সংবর্ধনা প্রদান ও একটি ছোট্ট মিছিলের আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু মীনাক্ষীকে নিয়ে গাড়ি সেখানে পৌঁছতেই তা ঘিরে ফেলে পুলিশ। শুরু হয় ধরপাকড়। শেষ পর্যন্ত পুলিশের নির্দেশে মীনাক্ষীকে নিয়ে গাড়ি অন্য পথে ফিরে যায়। কলকাতায় পরিকল্পনা বানচাল হলেও, হাওড়ায় জেল থেকে ছাড়া পাওয়া ১৫ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে আবির খেলে মিছিল করেন বাম ছাত্র যুবরা।