কলকাতা : সোমবারই জামিন মঞ্জুর হয়েছিল। মঙ্গলবার জেল থেকে ছাড়া পেলেন বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে জামিন প্রাপ্ত ১৬ জনকেও ছেড়ে দেওয়া হল। ছাড়া পেয়েই তিনি জানালেন, হাল ছাড়ছেন না। আনিশের খুনিদের শাস্তি না হওয়া অবধি তাঁরা আন্দোলন চালিয়েই যাবেন।
সোমবার DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ ১৬ জন হাওড়া জেলা আদালত থেকে জামিন পান। পুলিশ সুপারের অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর ৯দিন পরে জামিন পান তাঁরা। আনিস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ দেখায় বামেদের ছাত্র-যুব সংগঠন। সেদিন এসপি অফিসে ভাঙচুর ও পুলিশ কর্মীদের মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল মীনাক্ষি-সহ ১৬ জনকে।
জেল ছেড়ে ছাড়া পাওয়ার সময় হাজির ছিলেন মীনাক্ষির মা-বাবা। জানা গিয়েছে, মীনাক্ষি অসুস্থ। তাঁর পায়ে চোটও রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করা হবে তাঁকে।
গ্রেফতারির পর ৩ বার ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত। আজ জামিন মঞ্জুর হাওড়া আদালতের (Howrah Court) চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়। জানানো হয়েছে তদন্তের স্বার্থে হাজিরা দিতে হবে পুলিশের কাছে। নির্দেশ হাওড়া আদালতের (Howrah Court) চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের।
অন্যদিকে, আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড় এসেছে! পাইপ বেয়ে পালাতে গিয়েই আনিসের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করলেন সওকত মোল্লা। কী করে এই বিষয়টি জানলেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক? পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে আনিসের পরিবার। এদিকে, সোমবার ফের মৃত ছাত্রনেতার বাড়িতে যায় SIT। তাদের সঙ্গে ছিল CFSL-এর বিশেষজ্ঞরাও । এদিকে, ছাত্রনেতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আনিসের দাদাকে হুমকি ফোনের অভিযোগে ধৃত সারোয়ার হোসেনের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে মৃত্যু হয় আনিস খানের। ঘটনার তদন্তে ২১ তারিখ স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা SIT গঠন করে রাজ্য সরকার। সোমবার ফের ছাত্রনেতার বাড়ি সারদা দক্ষিণ খাঁপাড়ায় যান সিটের তদন্তকারীরা। সঙ্গে ছিলেন সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞও।