কলকাতা: রাজ্যে ফের অ্যাডিনো আক্রান্ত শিশুর মৃত্যু (Adenovirus Death) । বি সি রায় হাসপাতালে দক্ষিণেশ্বরের অ্যাডিনো আক্রান্ত ৬ মাসের শিশুর মৃত্যু। গতকাল রাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত বি সি রায় হাসপাতালে ৪ শিশুর মৃত্যু। নিউমোনিয়ায় মৃত্যু দত্তপুকুর, হাড়োয়া ও বনগাঁর তিন শিশুর। 


রাজ্যে ফের শিশু মৃত্যু:  আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। বিভিন্ন হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও অ্য়াডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্য়ু মিছিল। অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যেই ৪ শিশুর মৃত্যু হল বি সি রায় হাসপাতালে। বনগাঁর বাসিন্দা, ৭মাসের বছরের এক শিশুকে জ্বর-শ্বাসকষ্ট হওয়ায়, প্রথমে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওই শিশুকে বি সি রায় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাখা হয় আইসিইউতে এরপর শনিবার সব শেষ। ডেথসার্টিফিকেটে উল্লেখ রয়েছে সিভিয়ার নিউমোনিয়ার। দত্তপুকুরের বাসিন্দা দেড়বছরের শিশুর জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায়, বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, শনিবারই শিশুর ছুটি হয়ে যাওয়ার কথা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপর কীভাবে শিশুর মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবার।নিউমোনিয়ার উল্লেখ রয়েছে ডেথ সার্টিফিকেটে।দক্ষিণশ্বের বাসিন্দা, ৬মাসের এক শিশুরও রবিবার বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তাকে জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে সোমবার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে অ্যাডিনো ভাইরাল নিউমোনিয়ার উল্লেখ রয়েছে। হাড়োয়ার বাসিন্দা, ১বছর ২ মাসের শিশু  জ্বর শ্বাস কষ্ট নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার দুপুরে তারও মৃত্যু হয়েছে।


বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে ২ মাসে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জন শিশুর। আর এই শিশু মৃত্যু নিয়ে চড়ছে রাজনীতির পারদ। এই প্রেক্ষাপটে অ্যাডিনো-মোকাবিলায় রবিবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে টাস্ক ফোর্স। বিভিন্ন হাসপাতালে কতজন শিশু ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে কতজন অ্যাডিনো আক্রান্ত। পরিকাঠামোর কোনও খামতি রয়েছে কি না। বেডের জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন কি না। কীভাবে হাসপাতাল পরিদর্শন করা হবে। এসব নিয়েই মূলত আলোচনা করেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। অ্য়াডিনো সংক্রমণ মোকাবিলা এবং আক্রান্তদের চিকিৎসার বিষয়টি তদারকির জন্য় শনিবারই ৮ সদস্য়ের টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে রাজ্য় সরকার। যার চেয়ারম্যান মুখ্যসচিব। এছাড়াও, কোন হাসপাতালে কতগুলি বেড খালি রয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে তা অসুস্থ শিশুর পরিবারকে জানানো যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা হবে এই বৈঠকে। অ্যাডিনো-পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিকভাবে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে।


আরও পড়ুন: Kolkata Metro: বৈঠকে কাটল নির্মীয়মাণ নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোর জমিজট