বিজেন্দ্র সিংহ ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তার বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে স্বস্তি পেলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তাঁর আবেদনের শুনানি পিছিয়ে গেল দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court)। ফলে আপাতত অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারছে না ইডি (Enforcement Directorate)। তাতে আপাতত কিছু দিনের জন্য স্বস্তি পেলেন অনুব্রত। 


অনুব্রতর আবেদনের শুনানি পিছিয়ে গেল দিল্লি হাইকোর্টে


গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) এই মুহূর্তে জেলবন্দি অনুব্রত। ১১১ দিন ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। বার বার জামিনের আবেদন জানালেও, প্রভাবশালী তত্ত্বে প্রতি বারই তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। সেই আবহেই গরুপাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি রওনা দিয়েছে বাংলার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। 


এ দিকে, দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। বৃহস্পতিবার তার শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে আদালত। ফলে গরু পাচার মামলার তদন্তে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে ইডি জেরা করতে চাইলেও, এখনই তা সম্ভব হচ্ছে না। তাতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির স্বস্তি আরও কিছুদিনের জন্য বাড়ল।


গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি। তারই বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন অনুব্রত। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে শুনানির কথা থাকলেও,অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল অন্য মামলায় ব্যস্ত ছিলেন। তাই অনুব্রত-মামলার শুনানির জন্য অন্য দিন ঠিক করার আবেদন জানানো হয়।


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: অভিষেকের বাবার দায়ের করা মানহানি মামলায় শুভেন্দুকে আদালতের হাজিরার নির্দেশ


তার প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, ৭ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ফলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ অবধি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতিকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি।


এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমার তো মনে হয় ওঁর আসা উচিত। কারণ দিল্লির জেলে যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে, সেটা বাংলার জেলে নেই। ফ্রিতে ম্যাসাজ ওখানে পাবেন? ফিজিও থেরাপি পাবেন? পাবেন না। তবে উনি চান বা না চান, তাতে কিছু যায় আসে না, আজ হোক কাল হোক, আসতে হবে দিল্লির সেবা নিতে।"


অনুব্রতর আইনজীবী অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকায় পিছোল শুনানি


গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। তিহাড় জেলে রাখা হয়েছে তাঁকে। এ দিন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতেও তোলা হয় তাঁকে। সেখানে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে সায়গলকে। 


এ সবের মধ্যেই এনামুলকে জেরা করতে দিল্লি পৌঁছেছে রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। শুক্রবার এনামুলকে জেরা করতে পারে তারা।