কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) গ্রেফতার হলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। বৃহস্পতিবার তাঁকে ফের একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সায়গলকে। তাঁর বয়ানে অসঙ্গতিও মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।
গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো বেজে ২২ মিনিটে আইনজীবী সঞ্জীব দাঁয়ের সঙ্গে সিবিআই-এর ডাকে নিজাম প্যালেসে ঢোকেন সায়গল। সায়গলের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি থাকার অভিযোগ। আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির হিসেব দেখাতে পারেননি বলে দাবি গোয়েন্দা সূত্রের। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখান থেকে ফের নিজাম প্যালেসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলবে। তার পর শুক্রবার তাঁকে আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গলের নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট, একাধিক জমির দলিল পাওয়া গিয়েছে, যার সঙ্গে তাঁর বেতনের কোনও সামঞ্জস্য নেই।
আরও পড়ুন: CM- Governor Meet : রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা, নিজের আঁকা ছবি উপহার মুখ্যমন্ত্রীর
এর আগে মঙ্গলবারও সায়গলকে জেরা করে সিবিআই। এই নিয়ে তাঁকে ৫ বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত সপ্তাহে তাঁর মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। প্রায় ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেখানে প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্তও করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় একাধিক সম্পত্তিও। এর পর দুর্গাপুরেও সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে দু'দফায় জেরা করা হয় সায়গলকে। গরুপাচারের টাকায় কারা লাভবান হন, তাঁর কী ভূমিকা, টাকার উৎস কী, তাঁর হাত দিয়ে কোথাও টাকা পাঠানো হয়েছিল কিনা, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সায়গলকে। এর আগে একাধিক ব্যক্তিকে জেরার সময় বার বার সায়গলের নাম উঠে এসেছে জানা গিয়েছে। তাই মামলায় তাঁর ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সায়গলের গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "সিবিআই নিজের মতো করে তদন্ত চাইছে। বাংলার মানুষ চান, সত্য সামনে আসুক। তদন্ত দ্রুত শেষ হোক। সিবিআই-এর তরফএে তৎপরতা বেড়েছে। আবার তাতেও মুশকিল। তাহলেই বলবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। আবার শ্লথ হলে বলবে গটআপ কেস। শুনতে শুনতে ক্লান্ত আমরা। তবে আমরা এই তদন্তের শেষ দেখতে চাই।"
অনুব্রতকেও জেরা করেছেন গোয়েন্দারা
গরুপাচার মামলায় এর আগে অনুব্রতকেও জেরা করেছে সিবিআই। বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার, এনামুল হককেও গ্রেফতার করা হয়। এই মামলায় বাংলার আরও অনেক হেভিওয়েট নেতা এমনকি বিশিষ্ট জনেদের সংযোগ রয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দা সূত্রের।