বীরভূম: কয়লা ও গরুপাচার কাণ্ডে ফের অস্বস্তিতে তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mondal)। সিবিআইয়ের (CBI) পর কয়লা-গরু পাচারকাণ্ডে এবার ইডি-র নজরে অনুব্রত। ইডির (ED) নজরে রয়েছে অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও।


কীসের খোঁজে ইডি:
সূত্রের খবর, ইডির সদর দফতর থেকে সিবিআই-কে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতেই সিবিআই-এর কাছ থেকে সব তথ্য প্রমাণ চাওয়া হয়েছে। সায়গলের বাড়ি থেকে কী কী নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে ইডির তরফে। যাবতীয় সম্পত্তি সম্পর্কে সিবিআই যে যে তথ্য পেয়েছে, সেই তথ্যগুলিও জানতে চাওয়া হয়েছে। সমস্ত তথ্য় খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে উডি সূত্রের খবর।    


বিপুল সম্পত্তির হদিশ:
এর আগে গরুপাচার (cattle smuggling) মামলায় অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেই সময় নাকি ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল সিবিআই। বাড়ি-ফ্ল্যাট থেকে ট্রেলার-পেট্রোল পাম্প, সোনা থেকে গাড়ি-একাধিক সম্পত্তির হদিস মিলেছে। চারটি ফ্ল্যাট, পাঁচটি বাড়ি এমনকি নিউটাউনে দু'টি নির্মীয়মান বাড়ি রয়েছে অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষীর। খোঁজ মিলেছে বিপুল পরিমাণ জমিরও (Land)। সিবিআইয়ের দাবি সব মিলিয়ে মোট ১০টি গাড়ি রয়েছে সায়গল হোসেনের। সায়গলের সম্পত্তির (Asset) হদিশ পেতে তাঁর ৬ মামাকে তলব করেছে সিবিআই (CBI)। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গলের সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখতে গিয়ে তাঁরা মামাদের নামে একাধিক জায়গায় বিপুল সম্পত্তির হদিশ মেলে। তাঁদের নামে পাথরের খাদান থেকে ডাম্পার ট্রাক পাওয়া গিয়েছে তাঁদের নামে।মামাদের নামেই সায়গল নিজের বেনামি সম্পত্তি রেখেছিলেন বলে দাবি গোয়েন্দাদের।


গরুপাচার মামলায় সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন অনুব্রত মন্ডলও (Anubrata Mondal)। একের পর এক সিবিআই হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। তারপরে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হয়েছেন।  

আরও পড়ুন:  'ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিচয়ে ফোন', বিশ্বাসে সর্বস্বান্ত বীরভূমের বাসিন্দা !