এরশাদ আলম,বীরভূমঃ ১০ লক্ষাধিক প্রতারণার শিকার হলেন বীরভূমের বসিন্দার। একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে ১০ লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার শিকার হলেন বীরভূমের দুবরাজপুরের এক ব্যক্তি। উল্লেখ্য, বাংলায় একাধিক অ্যাপে টাকা লেনদেন করতে গিয়ে এর আগেও প্রতারণার শিকার হয়েছেন রাজ্যের বাসিন্দা। ব্যাঙ্কের নামে কল করে এটিএম নাম্বার শেয়ার করতে গিয়ে দেউলিয়া হয়েছেন, বাংলার একাধিক বাসিন্দা।


আরও পড়ুন, বিদ্যা-বুদ্ধি আর ঘরের বউ, কাউকে ধার দিতে নেই: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


মোট ১০ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা উধাও


 প্রচারিত হওয়া ওই ব্যক্তির নাম তপন গড়াই। তিনি হলেন বীরভূমের দুবরাজপুরের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি সরকারি একটি জীবন বীমা সংস্থায় একটি চেক দেন। সেই চেক প্রদানের পর টাকা লেনদেন হয়ে গেলে, তাকে ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিচয় দিয়ে অপরিচিত এক ব্যক্তি ফোন করেন। ব্যাঙ্ক কর্মী হিসেবে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি এমন ভাবে তপন গড়াইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিশ্বাস অর্জন করেন যে, তপন গড়াই ওই ব্যক্তিকে ব্যাংক কর্মী হিসাবে ভেবে নেন। এরপর তাঁকে অটো ফরওয়ার্ড এসএমএস টু পিসি নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। সেই অ্যাপটি ডাউনলোড করার পরেই ধাপে ধাপে তপন গড়াই এবং তার পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হতে শুরু করে। এই ঘটনায় মোট ১০ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ব্যক্তি দুবরাজপুর থানা এবং বীরভূম সাইবার সেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।


প্রতারকদের নতুন কায়দার ফাঁদে শহরবাসী


প্রসঙ্গত, একাধিক অ্যাপে টাকা লেনদেন করতে গিয়ে এর আগেও প্রতারণার শিকার হয়েছেন রাজ্যের অসংখ্য মানুষ। গত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকও একটি এমনই ভুয়ো কল পান। সাধারণ ফোনের ওপারে কলগুলি আসে, ব্যাঙ্কের থেকে বলছি বলে। তবে এমন ঘটনা এত ভুরি ভুরি হয়েছে, যে বাংলার বাসিন্দারা আগের থেকে অনেকটাই সতর্ক। তাই পুরোনো কায়দা কল করাটাও বদলেছে প্রতারক। গত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপক তার ফোনের ট্রু কলারে দেখতে পান, তারই ব্যাঙ্কের নাম। এহেন ঘটনায় প্রতারক আরও একধাপ এগিয়ে ট্প কলারে বিশ্বাসযোগ্যতা হাসিল করতে, ব্যাঙ্কের নামে সেভ করে রেখেছে। আর ভরসা বাড়তেই ফের নতুন কায়দার ফাঁদে পড়ছেন গ্রাহকরা। তবে শুধু এই ঘটনাই নয়, পেটিএম-সহ একাধিক সংস্থার তথ্য হ্যাক করে প্রতারক টাকা তুলে ফেলেছেন নিমেশেই গ্রাহকদের থেকে। আর এবার সেই ফাদে পা দিয়ে ফের বিপুল অঙ্কের অর্থ হারালেন বীরভূমের ওই বাসিন্দা।