কলকাতা: গরুপাচার মামলায় তিহাড়ে কেষ্ট, বীরভূমে জেলা সভাপতি পদে বদল? এদিনই ৮ জেলায় সভাপতি বদল করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানেই তালিকায় বীরভূমের দায়িত্বের জায়গায় নাম 'কোর কমিটি টু কমিটি'।


বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি পদে নাম নেই অনুব্রত মণ্ডলের। জেলা সভাপতির নামের জায়গায় লেখা শুধু কোর কমিটি টু কমিটি। বীরভূম জেলা সভাপতি পদে ধোঁয়াশা রেখেই তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের।

একজন গরু পাচার মামলায় একবছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে বন্দি। আর একজনের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ। সেই অভিযোগে আরেকজনের সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। এবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি এবং জেলা চেয়ারপার্সন রদবদলে আলোচনার কেন্দ্রে তাঁরাই। একজন অনুব্রত মণ্ডল। যাঁর নাম এই প্রথম তৃণমূলের জেলা সভাপতির তালিকা থেকে উধাও। আরেকজন মহুয়া মৈত্র। যিনি বিতর্কের মধ্য়েও প্রোমোশন পেয়ে হলেন তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি।


প্রশ্ন উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে।  গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি বীরভূমের জেলা সভাপতিকে কি ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করল তৃণমূল? অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর, তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে না সরানো হলেও, এই জেলা দেখভালের জন্য় একটি কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তবে, সোমবার তৃণমূলের তরফে জেলা সভাপতি এবং চেয়ারপার্সনদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে অনুব্রত মণ্ডলের নামই নেই। সেখানে জেলা চেয়ারপার্সন হিসেবে নাম রয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের। আর জেলা সভাপতির জায়গায় কারও নামের বদলে লেখা কোর কমিটি টু কমিটি। অর্থাৎ নতুন কোনও জেলা সভাপতির নাম না থাকলেও, অনুব্রত মণ্ডলের নামও সেখানে নেই! আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি লালমাটির জেলায় অনুব্রত মণ্ডলের নামের পাশে কি পড়ল লালকালি?


এর পাশাপাশি ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ঘিরে সম্প্রতি বিতর্ক চরমে উঠলেও, দলে তিনি কার্যত প্রোমোশন পেয়েছেন। মহুয়াকে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী করা হয়েছে। আগে নদিয়া জেলার সভানেত্রী ছিলেন তিনি। ২০২১ সালে নদিয়ার দায়িত্ব কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করে দেয় তৃণমূল। তখন আর মহুয়া মৈত্রকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ ওঠার পর তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। শুরুতে দলের তরফে এনিয়ে কিছু বলা না হলেও, সম্প্রতি মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়ান অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এবার দলের অন্দরে প্রোমোশনের মধ্য়ে দিয়েও কি মহুয়ার পাশে থাকার বার্তা দিল দল?

সংগঠনে ওলটপালট:
লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের সংগঠনে এ যেন ঝাঁকুনি। একাধিক সাংগঠনিক জেলা কমিটিতে অদলবদল করা হয়েছে।  তৃণমূলের বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী পদ থেকে সরানো হল শাওনি সিংহ রায়কে। তাঁকে করা হল তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হল অপূর্ব সরকারকে। রাজ্য সম্পাদক করা হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে। তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে সরানো হল কল্লোল খানকে।


আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ, স্পিকারের কাছে ফের নালিশ