রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: কালীপুজোর রাতে সাগরপাড়া থানায় এলাকায়, বিধ্বংসী আগুন !  সাগরপাড়ার একটি পরিবার বাজি ফাটানোর সময় আগুন লাগে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সাগরপাড়া থানার চকমথুরা এলাকায় রবিন মন্ডলের বাড়িতে আগুন লাগে। পাকা বাড়ির ছাদের ওপর পাট কাঠির পালা ছিল। বাজি ফাটানোর সময় আগুনের ফুলকি আচমকাই গিয়ে পড়ে সেখানে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।


 বিধ্বংসী আকার ধারণ করলে বাড়ির লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে গিয়ে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মূহূর্তের মধ্যে সবকিছু পুড়ে যায় হয়ে গেছে। পরে খবর দেওয়া হয় দমকলকে। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পাড়া প্রতিবেশীদের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে চকমথুরা এলাকার বাসিন্দারা। আগুনে বাড়িতে থাকা ৫০টি মুরগি,বাড়ির গম ধান রাই-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি বলে জানান প্রতিবেশীরা। ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জলঙ্গীর বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক।


প্রসঙ্গত, কারখানা, গোডাউন, শোরুমে আগুন লাগার ঘটনা বাদ দিলে বহুতলে আগুন লাগার ঘটনাও কম নেই। কারখানায় দাহ্য পদার্থ যদি কারণ হয়ে থাকে, শহরের একাধিক বাড়িতেও আগুন লাগার অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রধান খলনায়ক কারেন্টের তার অর্থাৎ শর্টসার্কিট এবং গ্যাস সিলিন্ডার  বাস্ট করে আগুন। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে বউবাজারের বহুতলে আগুন লেগেছিল। তবে এক্ষেত্রে কারণটা ছিল ব্যাতিক্রমী। মূলত ওই বহুতলের বেসমেন্টে রাসায়নিকের গুদাম ছিল। 


সেখানেই আগুন লাগতে উপরের তলার ফ্ল্যাটের আবাসিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল আতঙ্ক। সঙ্কীর্ণ রাস্তায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েছিল দমকল।  কলকাতায় (Kolkata) এই বহুতলটির বেসমেন্টে রয়েছে মূলত রাসায়নিকের গুদাম। উপরের তলায় আবাসন, সেখানে আবাসিকরা রয়েছেন। সাততলা ভবনে বেসমেন্টে রয়েছে গুদাম। সেখানে রয়েছে রাসায়নিকের ড্রাম। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরণ (Exploitation) ঘটsছিল। প্রথমে সেখানে ঢুকতে পারছিলেন না দমকলকর্মীরা। ওই বেসমেন্টে ঢোকার ও বেরনোর পথ একটিই। সেটি বন্ধ ছিল। পিছনের একটি গেট কেটে আপাতত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। 


আরও পড়ুন, কালী পুজোর রাতে পুলিশের গাড়ির সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত ৩


এর আগে মে মাসে রাজভবনের কাছে অবস্থিত শরাফ হাউসেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। বিষয়টি জানতে পেরে নিজেই রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন রাজ্যপাল। রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজে পরিস্থিতি তদারকি করেন। আনা হয়েছিল হাউড্রলিক ল্যাডারও। মূলত শরাফ হাউসে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের দফতর রয়েছে। উপরে ছিল রান্নাঘর। সেখানেই আগুন লাগে বলে জানা যায়। স্থানীয়দের দাবি, মিনিট পনেরোর মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছিল। আগুন এত ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে ছাদের বেশ কিছু অংশ খসে পড়তে শুরু করে। পর পর চারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে বিস্ফোরণ ঘটেছিল আগুন লাগে বলে জানা যায়।