ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও এরশাদ আলম, বীরভূম :  ১১ অগাস্ট, গরুপাচার মামলায় CBI-এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার প্রায় ৪ মাস পর, মঙ্গলবারই প্রথমবার নিজের জেলায় ফিরেছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ( Anubrata Mondal )।


সোমবার ইডির করা মামলায়, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট যখন অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছে, নাটকীয়ভাবে সেদিনই দুবরাজপুর থানায় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে, এক বছর আগেকার একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে, খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল ( TMC ) কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডল। 


সেই মামলায় মঙ্গলবার সাত সকালে আসানসোল জেল থেকে অনুব্রতকে নিয়ে বীরভূমের দুবরাজপুর আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। সূত্রের খবর, আসানসোল জেল থেকে সকালে স্নান করে বেরিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি।  দুবরাজপুর আদালত চত্বরে এসে লুচি-তরকারি দিয়ে প্রাতঃরাশ সারেন। মঙ্গলবার তৃণমূল কর্মীর দায়ের করা মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুবরাজপুর থানায়।

আরও পড়ুন :


মুরগির দামও আগুন ! সাধারণের যন্ত্রণা বাড়িয়ে কলকাতায় কত হল দাম?


বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ' আসানসোল থেকে দুবরাজপুর আদালতে আসার পর তিনি খোশ মেজাজেই ছিলেন।তারপর যখন সাতদিনের রিমান্ড হয়, তখন দুবরাজপুর থানার লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়। লকআপেই আছেন।'


দুবরাজপুর থানার লকআপে প্রথম দিন কীভাবে কাটালেন অনুব্রত মণ্ডল?
দুপুরে ও রাতে খেলেনই বা কী? মঙ্গলবার দুপুরে ভাত, মুসুরির ডাল, পোস্তর বড়া ও আলু পোস্ত দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। রাতে তাঁর মেনুতে ছিল, তিনটি রুটি, বেগুন পোড়া ও ছোলার ডাল। দুবরাজপুর থানার লকআপে অনুব্রত মণ্ডলের জন্য একজন অ্যাটেড্যান্টও রাখা হয়েছে। 


সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষের পর অনুব্রত মণ্ডলকে ফের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হবে।