নয়াদিল্লি: গরুপাচার মামলায় দিল্লি হাইকোর্টে পিছোল শুনানি। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে এসে জেরা করতে চায় ইডি।
গরুপাচার মামলার তদন্তের কারণেই অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে এসে জেরা করতে চায় ইডি। অনুব্রতর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। পাল্টা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত মণ্ডল। সেই মামলায় শুনানি পিছোল দিল্লি হাইকোর্টে। অনুব্রত মামলায় দিল্লি হাইকোর্টে পরবর্তী শুনানি ২ ফেব্রুয়ারি।
আসানসোল আদালতে:
এর আগে আসানসোল আদালতে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মন্ডল সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করেছিল সিবিআই। সেই শুনানিতে আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, সম্প্রতি ১৭৭টি সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সিজ করা হয়। তখন বিচারক জানতে চান, এর সঙ্গে অনুব্রতর যোগ কোথায়। সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, এর মধ্যে বেশ কয়েকটি অ্য়াকাউন্টের টাকা আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্টে ঘুরে জমা পড়েছে দুটি চালকল সংস্থার অ্যাকাউন্টে। যে ২টি চালকলের সঙ্গে অনুব্রতর যোগ হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি ছিল, যে ফর্ম দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, সেখানে দেখা যাচ্ছে একই ব্যক্তির সই। প্রোপোজার হিসেবে একই ব্যক্তির নাম। যাঁদের অ্যাকাউন্ট, তাঁদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাঁরা জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত অফিসে তাঁরা আধার কার্ড জমা দেওয়া দিয়েছিলেন। তারপরেই অ্যাকাউন্ট খুলে গিয়েছে।
কী খুঁজছে সিবিআই:
সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে ১৭৭টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছিল। সিবিআইয়ের দাবি ছিল, অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে ১০ কোটিরও বেশি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। ১৬০টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে শুধু ৫৪ টি অ্যাকাউন্টেই মিলেছে ৪ কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বেশিরভাগ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারই পেশায় চাষি। সিবিআই সূত্রে খবর, গরিব মানুষের কাছে অল্প দামে নগদে ধান কিনে চালকলে চাল করে খাদ্য দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিক্রিমূল্য হিসেবে পাওয়া চেক এই সব বেনামি অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে। সিবিআইয়ের তলবে নিজাম প্য়ালেসে হাজির হয়েছেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। পরিস্থিতি ঠিক কীরকম তা খতিয়ে দেখতে এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি পৌঁছে যান সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ১২ কিলোমিটার দূরের হরিপুর গ্রামে। সিউড়ির ব্যাঙ্কে সুন্দরী বসাকীর নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ফর্মে সই করেছেন তিনি নিজেই। অথচ তিনি তা জানেনই না। তাঁর দাবি ছিল, তিনি সই করতেই পারেন না। তাহলে কে সই করল ফর্মে? সুন্দরী বসাকী চাষের কাজ করেন। তাঁর দাবি ছিল, শুধুমাত্র ইউকো ব্যাঙ্কেই তার একমাত্র অ্যাকাউন্ট, যাতে আড়াই হাজার টাকা রয়েছে। অথচ সিউড়ির ব্যাঙ্ক থেকে তার নামে খোলা অ্য়াকাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিড-ডে মিলের ফল কেনা নিয়ে ধুন্ধুমার, শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় আরেক শিক্ষক