সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: আজ হচ্ছে না অনুব্রত (Anubrata Mondal) মামলার শুনানি। আগামীকাল সকাল ১১ টায় বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে শুনানির জন্য সুপারিশ। সুপারিশ করলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। অনুব্রতর ১৭ মার্চ পর্যন্ত ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ। সিবিআইয়ের মামলায় নির্দেশ আসানসোলের বিশেষ আদালতের। আসানসোল বিশেষ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রতর আইনজীবী। দিল্লি যাত্রা রুখতে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অনুব্রতর আইনজীবী।
দিল্লি যাত্রা আটকাতে, একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট ও দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন।কিন্তু, শুক্রবার কোনও আদালতেই স্বস্তি পেলেন না গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল।অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চেয়ে, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আর্জি জানিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ১৯ ডিসেম্বর, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত।
তৃণমূল নেতার হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে, আইনজীবী বলেন,২১ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলা মুলতুবির নির্দেশ দিয়েছিল। তখন ED তাঁদের মৌখিকভাবে আশ্বাস দিয়েছিল যে, ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট কার্যকর করবেন না। অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে আসবে না। তাহলে কেন আবার তাঁকে দিল্লি নিয়ে আসতে তৎপর হয়েছে ED?
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি, অনুব্রতর আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, আপনি যে ED-র দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা বলছেন, তার কি কোনও রেকর্ড আছে? সেটা না থাকলে, কীভাবে অনুব্রত মণ্ডলকে সুরক্ষাকবচ দেব?এরপর আগামী সোমবার পর্যন্ত, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা আটকানোর আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী। সেই সঙ্গে সোমবারই মামলার নিষ্পত্তির আবেদন করেন তিনি। তখন বিচারপতি আবার বলেন, এই মুহূর্তে তেমন কোনও নির্দেশ দিতে পারবেন না। এদিকে, বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রতর আইনজীবী।
সেই আর্জির প্রেক্ষিতে, শনিবার সকাল ১১টায় বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে, শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে সুপারিশ করেছেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। এই প্রসঙ্গ টেনে, দিল্লি হাইকোর্টে ED-র আইনজীবী বলেন, দিল্লি আসা আটকাতে, কলকাতা হাইকোর্টেও দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে শনিবার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। তাহলে কেন সুরক্ষাকবচ চাওয়া হচ্ছে?এরপরই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি, অনুব্রতর আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, যেহেতু একই আর্জিতে আপনারা কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছেন, তাই এখানে ওই আর্জি মানা সম্ভব নয়। শুক্রবার আসানসোলে বিশেষ CBI আদালতে স্বস্তি পেলেন না অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।সিবিআই সূত্রে দাবি, গত ১৪ দিনে, বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির নামে আরও ৮টি বেনামি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তারা।যেগুলি বোলপুর ও আশপাশের এলাকায় অন্যের নামে নগদে কিনেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Malda News: মালদায় ম্যাজিক দেখাতে এসে সোনার গয়না লুঠের অভিযোগ, শুরু তদন্ত