কলকাতা : মঙ্গলকোট মামলায় (Mangalkote Case) বেকসুর খালাস পাওয়ার পরই আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। "অন্যায় করিনি, তাই আজ বেকসুর খালাস হলাম। অন্যায় কোনও দিন করিনি, সবেতেই বেকসুর খালাস হব", বলে মনে করেন তিনি। তথ্যপ্রমাণের অভাবে আজ মঙ্গলকোট মামলায় বেকসুর খালাস  খালাস পান অনুব্রত।  প্রমাণের অভাবে খালাস হয়ে যান অনুব্রত সহ ১৪ জন।


২০১০ সালের ঘটনা। মঙ্গলকোটে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ সহ একাধিক ধারায় মামলা হয় অনুব্রত মণ্ডল, কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে। বাম জমানার শেষলগ্নে, মঙ্গলকোটে অশান্তির ঘটনা ঘটে। এই মামলায়, অন্যতম অভিযুক্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি ও মঙ্গলকোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুব্রত মণ্ডল। কেতুগ্রামের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ তাঁর ভাই ও নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ-সহ মোট ১৫ জন। আগেই এক অভিযুক্তর মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ১৪ জনের বয়ান নেওয়া হয়। অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, তিনি নির্দোষ।


আরও পড়ুন ; 'দিদি পাশে আছে, এটাই এনাফ' আজ কলকাতায় আসার আগে অনুব্রত কী বললেন দেখুন !


শুক্রবার আদালতে পেশ করা হলে প্রমাণের অভাবে খালাস হয়ে যান অনুব্রত সহ ১৪ জন। এর জন্য আসানসোল জেল থেকে ৯ সেপ্টেম্বর বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে নিয়ে আসা হয় বিধাননগরে। 


এর জন্য আসানসোল জেল থেকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে নিয়ে আসা হয় বিধাননগরে। 


অনুব্রত-উবাচ-


আসানসোল জেল থেকে বেরোনোর সময় অনুব্রত মণ্ডল বলেন, জেলে কেউ কন্টিনিউ থাকে না। জেল থেকে ছাড়া পায়। নিশ্চয় তিনিও ছাড়া পাবেন। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, দিদি পাশে আছে, এটাই এনাফ।


গতকালই নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, অনুব্রতকে বীরের সম্মান দিয়ে, জেল থেকে বের করে আনতে হবে। দলনেত্রীর ওই মন্তব্যের পরই আজ জেল থেকে বেরনোর সময় অনুব্রতর গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' প্রতিটা নির্বাচনে ওকে ঘরবন্দি করে দেয়। ভাবছেন জেলে বন্দি রেখে লোকসভা সিট দু’টো দখল করবেন। সে গুড়ে বালি!' 




গত পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূম জেলা পরিষদের সবক’টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল।