প্রকাশ সিনহা, আবীর দত্ত, আসানসোল : আদালতে জামিনের আবেদন করলেন অনুব্রত মণ্ডল ( Anubrata Mondal )। অন্যদিকে, আরও জিজ্ঞসাবাদের প্রয়োজন, জানিয়ে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে আরও ৪ দিনের জন্য চাইল সিবিআই (CBI ) । এরই মধ্যে আদালত চত্বরে এক্কেবারে সরগরম পরিস্থিতি। 


অনুব্রতকে দেখে ফের গরু চোর ( Cow Smuggler )  স্লোগান তোলেন তাঁর বিরোধীরা। আসানসোলে ইসিএলের গেস্ট হাউস থেকে বেরোতেই ‘গরুচোর’ স্লোগান ওঠে তাঁকে লক্ষ করে। আদালতে পেশের সময়ও ‘গরুচোর’ স্লোগান দেওয়া হয়। পাল্টা স্লোগান দেওয়া হয় তৃণমূলের তরফে। চিৎকার করে স্লোগান ওঠে ' জয় বাংলা ' ।


অনুব্রতর প্রচুর বেনামি সম্পত্তি : CBI
সিবিআই সূত্রে দাবি, ঘনিষ্ঠদের নামে অনুব্রতর প্রচুর বেনামি সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়াও, অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছাড়াও রয়েছে ফার্ম হাউস, জমি, রাইস মিল। সেক্ষেত্রে অনুব্রতর আয়ের উত্স কী, তা জানতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত। সেই কারণে তাঁকে ফের হেফাজতে চাওয়া হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।


 জামিনের আবেদন অনুব্রতর
শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন অনুব্রত। ‘তদন্তে অসহযোগিতা করছেন অনুব্রত, আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন, বর্ডারে বাজেয়াপ্ত করা গরুর নিলামের টাকা যেত অনুব্রতর কাছে’ আদালতে দাবি করেছে সিবিআই। ‘গরু পাচারে সাহায্য করতেন অনুব্রত। দুটি অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। ৭২ দিন হেফাজতে আছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল। তাঁর সঙ্গে এনামুলের কথোপকথনের প্রমাণ মিলেছে’, অনুব্রতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন, আদালতে দাবি করেছে সিবিআই। 


'বেনামি সম্পত্তি নেই'
এর আগে শনিবার সকালে তিনি মন্তব্য করেন, সিবিআই বলছে বলুক, তাঁর কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই।  পাশাপাশি, তদন্তে সিবিআইকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন বলেও দাবি করলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। এদিন নিজাম প্যালেস থেকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় এই মন্তব্য করেন অনুব্রত। গরুপাচার মামলায় ফের তাঁকে আসানসোলের বিশেষ আদালতে তোলা হল।