কলকাতা: দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজাম প্যালেসের সিবিআই (CBI) দফতর থেকে বেরোলেন অনুব্রত মন্ডল। সেখান থেকে গাড়িতে সোজা পৌঁছলেন এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে জরুরি বিভাগে পরীক্ষা করা হয়। এসএসকেএম-এ রুটিন চেকআপ করা হয় অনুব্রত মন্ডলকে (Anubrata Mondal)। খবর সূত্রের।  তারপর তাঁকে উডবার্ণ ব্লকে (Woodburn Block) নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  


বৃহস্পতিবার গরু পাচার (Cow smuggling) মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সকাল ৯টা ১০-এ দুটি গাড়ির কনভয় নিয়ে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে রওনা দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। ৯টা ৫০ পৌঁছন নিজাম প্যালেসে। সূত্রের খবর, ২০ মিনিট গেস্ট রুমে বসানোর পর, ১৫ তলা থেকে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হয় ১৬ তলায়। সকাল ১০টা ১০ থেকে তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছিল ৭ পাতায় ৩৬টি প্রশ্ন। তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গরুপাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তব ও এসপি রাজীব মিশ্র। প্রথম দফায় ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ১৫ তলায় এনে ফের দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। 


সিবিআইয়ের দাবি:
সিবিআইয়ের দাবি, গরুপাচার মামলায় এনামুল হককে গ্রেফতারের পর জেরায় উঠে আসে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গতবছর এপ্রিলে প্রথমবার অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস পাঠানোর পর, গত ১৩ মাসে তদন্তে আরও অনেক তথ্য উঠে এসেছে। এরপর চলতি বছরের ১৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৫ মার্চ, ৬ ও ২৪ এপ্রিল, মোট ৬ বার নোটিস পাঠানো হয়। শারীরিক অসুস্থতা-সহ বিভিন্ন কারণে হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত। বুধবার আইনজীবীর মাধ্যমে ইমেল পাঠিয়ে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা। 


কোথায় দাঁড়িয়ে মামলা:
গরুপাচারকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০২০-র নভেম্বরে গ্রেফতার হন বিএসএফ কমাড্যান্ট সতীশ কুমার। তাঁকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয় ব্যবসায়ী এনামুল হককে। এ বছরের এপ্রিল মাসে বিকাশ মিশ্রকে গরুপাচার মামলায় নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। এর মধ্যে সতীশ কুমার ও এনামুল হক বর্তমানে গরুপাচার মামলায় ইডি-র হেফাজতে রয়েছেন।  


আরও পড়ুন: কোন বেঞ্চে পার্থর মামলা? সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতি