কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: বুকে ব্যথা, কষ্টের কথা আগেও জানিয়েছিলেন কেষ্ট ( Anubrata Mondal ) । আবারও কষ্টে কেষ্ট। শরীর ভাল নেই তাঁর। ফের দাবি করলেন অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে আসানসোল ( Asansol ) জেলে বন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি।
সোমবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আসানসোল জেল থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূলের ( TMC ) বীরভূম জেলা সভাপতিকে। এর আগে ২০ নভেম্বর, অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। প্রায় আড়াই মাস পর ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হল গরুপাচার মামলায় ( Cow smuggling case ) ধৃত তৃণমূল নেতার। এর আগে নভেম্বরে বুকে ব্যথা অনুভব করেছেন বলে দাবি করেন আসানসোল জেলে বন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। সেই সময় আসানসোল জেল সূত্রের খবর ছিস হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন অনুব্রত মণ্ডল। তখনও সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক পরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন :
নদিয়ায় ফের উড়ল লাল নিশান, ৬৭-৫ ব্যবধানে তৃণমূল হারল তেহট্ট সমবায় নির্বাচনে
আগে থেকেই নানারকম শারীরিক কষ্টের কথা শোনা যায় অনুব্রতর তরফে। ২০২২ সালে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন তিনি। এপ্রিল মাসে তাঁকে যখন সিবিআই হাজিরা দিতে বলে তখনও তিনি অসুস্থতার কথা বলেছিলেন। এসএসকেএমের তরফেও তখন জানানো হয়, অনুব্রত মণ্ডলের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়েছে, কম রয়েছে ভিটামিন D3, ফুসফুসে জল জমেছে তৃণমূল নেতার, পিঠে ব্যথা রয়েছে, অনিদ্রাতেও ভুগছেন তিনি, তবে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রয়েছে, হার্টে কোনও সমস্যা নেই।
পরবর্তীতে অনুব্রতর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে বিরাট এক বিতর্ক তৈরি হয়। গত অগাস্টে সিবিআইয়ের দশম নোটিস পাওয়ার পরই অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে দুই চিকিৎসক যান ।ভর্তি নিতে হবে না বলেও, অনুব্রত মণ্ডলকে আপাতত বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন এক চিকিৎসক। যদিও ওই চিকিৎসক দলে থাকা ডা. চন্দ্রনাথ অধিকারী দাবি করেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলের কথাতেই তিনি সাদা কাগজে রেস্ট অর্থাৎ বিশ্রামের কথা লিখেছিলেন! এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় বয়ে যায়।
এরপর অগাস্ট মাসেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল CBI। তারপর নভেম্বরে অনুব্রত মণ্ডলকে জেলেই গ্রেফতার করে ED! অনুব্রত মণ্ডলের ৩ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত।