আসানসোল: ‘চোর চোর, গরু চোর’, অনুব্রতর কনভয় দেখে চিৎকার স্থানীয়দের। গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এদিন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়, কুলটিতে ECL-এর গেস্ট হাউসে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় কুলটিতে এই স্লোগান দেন স্থানীয়রা। এর আগে সোমবার SSKM হাসপাতালেও একই ছবি দেখা যায়। সেখানেও গরু চোর স্লোগান দেন বেশ কয়েকজন।
SSKM-এর ঘটনার পুনরাবৃত্তি: SSKM হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় অনুব্রত মণ্ডলকে উদ্দেশ্য করে উড়ে আসে ‘গরু চোর’ বিদ্রূপ। সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ SSKM হাসপাতাল থেকে বের হন অনুব্রত মণ্ডল। সেই সময়, অনুব্রত মণ্ডলকে দেখে ‘গরু চোর’ বলেন কয়েকজন। যাঁরা এই মন্তব্য করেন তাঁদের প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দেন, "উনি গরু চোর করেছে, তলব করেছে সিবিআই, এটা শুনছি সবাই যা বলছে, চোর তাই চোর। একটা গরু চোর ধরলে, গ্রামের পঞ্চায়েতের প্রধানরা কিংবা গ্রামের মেম্বাররা যেভাবে বিচার করে, ওকে ধরে গাছের গোড়ায় বাঁধে কিংবা লাঠি দিয়ে মারে। ওঁরে এরকম করা উচিত। এরকম করলে বুঝতে পারবে, যে আমি কতটা গরু চোর কিংবা গরু চুরি করেছি জনসাধারণের টাকা নিয়ে।
গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর তৃণমূলের (Trinamool) আরও এক হেভিওয়েট নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির জালে। গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল। গতকাল হাজিরা এড়ানোর পর আজ সকালে আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির সকলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়।
সিবিআই সূত্রে খবর, এর আগে গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। আজ ওই চিকিত্সকের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত প্রভাব খাটিয়ে চিকিত্সককে দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। কার নির্দেশে ওই সরকারি চিকিত্সক বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাও জানতে চায় সিবিআই। খবর সূত্রের। গরুপাচার মামলায় ১০ বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। ৯ বার হাজিরা এড়াল তৃণমূল জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়ান অনুব্রত। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন।