বীরভূম : বোলপুরের সরকারি চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারীর  ( Dr Chandranath Ahikari ) বয়ান রেকর্ড করল সিবিআই  । চিকিত্সকের বাড়িতে গিয়ে বয়ান রেকর্ড করল সিবিআই । কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ৩ জনের দল যায় চিকিত্সকের বাড়িতে ।



কী জিগ্যেস করল সিবিআই
সূত্রের খবর, ‘কার নির্দেশে অনুব্রতর বাড়িতে গিয়েছিলেন, সাদা কাগজে কেন লেখেন বেড রেস্ট?’ - গোয়েন্দারা এমন প্রশ্ন করেছেন, জানিয়েছেন চিকিত্সক। তিনি বলেন, আগে যা বলেছিলাম, সিবিআই-কেও তাই বলেছি। 


আগে কী জানিয়ে ছিলেন ডা. চন্দ্রনাথ ?
কিছুদিন আগেই বীরভূম থেকে এসএসকেএমে শারীরিক পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল  (Anubrata Mandal) । সিবিআই সমন উপেক্ষা করে কলকাতায় আসা অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছিল এসএসকেএমের ৭ চিকিৎসকের মেডিক্যাল বোর্ড। তার পরের দিনই অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে তাঁকে দেখতে যান বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। সকালের দিনে তিনি বলেছিলেন, উদ্বেগ ও ডিপ্রেসনে থাকা অনুব্রতকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। যদিও সেদিন রাতেই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন : 


জেরায় সহযোগিতা করবেন অনুব্রত ? বাকি চাঁইদের খোঁজ পাবেন গোয়েন্দারা ?


অনুব্রতর চিকিৎসা বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. চন্দ্রনাথ অধিকারী। তিনি বলেন, ' হাজিরা দেওয়ার মতো অবস্থাতেই আছেন অনুব্রত।'  হাসপাতালের বদলে সুপারের নির্দেশেই অনুব্রতর বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। ' অনুব্রত প্রভাবশালী, উনি বললে না লিখে কি পারি? ' চাপের অভিযোগ তুলে মুখ খোলেন বেডরেস্ট লেখা চিকিৎসক। তিনি দাবি করেন সুপারের নির্দেশেই তিনি নেতার বাড়ি যেতে বাধ্য হন। আর হাসপাতালের প্যাড না থাকার দরুণ সাদা কাগজেই তাঁকে প্রেসক্রিপশন লিখতে বলে দেওয়া হয়। 


এরপর বৃহস্পতিবার সেই চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, 'শারীরিক ও মানসিক ধকল গিয়েছে। কটা দিন বাড়িতে বিশ্রাম নিতে চাই। সাতদিনের ছুটি নিয়েছি। উদ্বেগ ও টেনশনে রয়েছি। পরিবারকে নিয়েও একটু চিন্তা তো রয়েইছে, তাই সাবধানে থাকতে হবে।'