সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা : স্বামী খুনে মূল অভিযুক্ত জামিন পাওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে ফের বিস্ফোরক পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাক্ষী দত্ত। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কথা বলে দেখা করলেন ব্যারাকপুরের সিপির সঙ্গে । সাক্ষাৎ করে অনুপম-পত্নী মীনাক্ষীর অভিযোগ, স্বামী খুনের মূল অভিযুক্তের জামিন পাওয়ার খবরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হল অনুপম দত্তর পরিবারের ।


'আত্মহত্যার চেষ্টা করি'
ব্যারাকপুরের সিপি অজয় ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করার আগে এবিপি আনন্দকে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, 'মূল অভিযুক্তের জামিন পাওয়ার খবরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আত্মহত্যার চেষ্টা করি। ' তবে এবার আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বললেন তিনি। বললেন সুপ্রিম কোর্টে চলবে ন্যায়ের জন্য লড়াই , জানান তৃণমূল কাউন্সিলর মীনাক্ষী দত্ত। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, স্বামী খুনে অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিত হাইকোর্টে গিয়েছে সেটাই জানা ছিল না তাঁর।

আতঙ্কে কাউন্সিলর 
গতকালও নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তৃণমূল কাউন্সিলর। তিনি বলেন, '' কারও ক্ষেত্রেই নিরাপত্তা নেই। আজকে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যদি কোনও মানুষকে, কাউন্সিলর ছাড়াই বললাম, যদি কোনও মানুষকে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে খুন করা হয়, আর তার চার মাসের মাথায় যদি তার বেল হয়, তাহলে বুঝতে হবে আজকে সাধারণ মানুষ সেও সেফ নয়। ''


 প্রেক্ষাপট 
চলতি বছরের ১৩ মার্চ, একই দিনে ২ ঘণ্টার মধ্যে খুন হন উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত! এবং পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের পরিবার CBI তদন্তের দাবি তুললেও, রাজ্য পুলিশের উপরেই ভরসা রেখেছিল তৃণমূল কাউন্সিলরের পরিবার। খুনের দু’দিনের মধ্যেই গ্রেফতার হন অভিযুক্ত বাপি ওরফে সঞ্জীব পণ্ডিত। যিনি ঠিকাদার হিসাবে পানিহাটি পুরসভার বিভিন্ন কাজকর্ম করতেন। খুনের তদন্ত শুরু করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। কিন্তু, ৬ মাসের মধ্যে অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিত জামিন পেয়ে যাওয়ায়, স্থানীয় পুলিশের উপর আর আস্থা রাখতে পারছে না নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের পরিবার। 


সূত্রের খবর, তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিতের জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।