কলকাতা: প্রায় ৫ মাসের মাথায় জেল থেকে মুক্ত আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)। জেল থেকে বেরোতেই ফুল-মালা দিয়ে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা বরণ করা হল। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের সময়ে আইএসএফ কর্মীকে খুনের মামলায় জেলে ছিলেন তিনি। গতকাল হাইকোর্ট জামিন পান তিনি। আজ, বুধবার জেলমুক্তি হল তৃণমূল নেতার।
জেল থেকে মুক্ত তৃণমূল নেতা: বুধবার তার জেলমুক্তির আগেই হাজির হয়ে যান অনুগামীরা। আরাবুল ইসলাম জেল থেকে বোরনোর পরে মালা পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতাকে জামিন দিয়ে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, বিচারপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রবিবার থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিম্ন আদালতে অব্যাহতি না মেলা পর্যন্ত প্রতি শুনানির দিন হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ যখনই চাইবে, তখনই জিজ্ঞাসবাদের মুখোমুখি হতে হবে আরাবুলকে, এমনটাই নির্দেশ হাইকোর্টের।
ঘর হারালেন আরাবুল: ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম। পঞ্চায়েতে হিংসা-সহ একাধিক অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এবার নিজের গড়েই ঘর হারালেন আরাবুল ইসলাম। জামিনে জেল-মুক্তির নির্দেশের পর, ভাঙড়ে ফেরার আগেই পঞ্চায়েত সমিতিতে আরাবুলের ঘর দখল করলেন তাঁরই দলের নেতারা। পঞ্চায়েত সমিতির তাঁর ঘরের বাইরে নেমপ্লেট সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘরেই বসলেন সওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভানেত্রী সোনালি বাছার ও যুব তৃণমূল নেতা খাইরুল ইসলাম। জেলে থাকাকালীন এর আগে আরাবুলকে ভাঙড়ের আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি করে অবশ্য বিতর্ক এড়িয়েছেন সওকত মোল্লা।
কী প্রতিক্রিয়া আরাবুলের?
এদিন জেলমুক্তি পর এবিষয়ে আরাবুল ইসলাম বলেন, "সভাপতির পদটা কেউ কারও কেড়ে নিতে পারে না, কেউ কাউকে হটিয়ে দিতে পারে না আমি নির্বাচিত প্রতিনিধি, নির্বাচন করে আমি জিতেছে, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা আমাদের ভোট দিয়েছে, আমি নিশ্চয় গোটা ব্যাপারটা আপনাদের কাছে এক সপ্তাহের মধ্যে বলব।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।