কলকাতা: গতকাল অর্থাৎ সোমবার বাংলায় নিষিদ্ধ হয়েছে 'দ্য কেরালা স্টোরি'। এবার এই ছবির বিতর্কে মুখ খুললেন অভিনেতা অনুপম খের। সম্প্রতি তিনি জানান, 'তাঁরা একই মুখ যাঁরা এই ধরণের ছবির বিরোধিতা করে চলেছেন এবং এইবিশেষ কিছু লোকেদের সর্বত্রই দেখা যায়। সেটা সিএএ প্রতিবাদ হোক বা শাহিনবাগের প্রতিবাদ বা জেএনইউ প্রতিবাদ। তাঁরা একই মুখ যারা দ্য় কাশ্মীর ফাইলস-এরও সমালোচনা করেছিলেন। আমি তাঁদের উদ্দেশ্য জানি না এবং তাঁদের প্রতি মনোযোগও দিতে চাই না। কারণ তাঁরা অপ্রয়োজনীয়।'


এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'আবারও আমি বলব তাঁরা একই মুখ। আমি ছবিটি দেখিনি কিন্তু আমি খুশি যে পরিচালকেরা বাস্তব জীবন থেকে ছবি বানানোর রসদ নিচ্ছেন।'


পাশাপাশি, 'দ্য কেরালা স্টোরি'কে বাংলায় নিষিদ্ধ করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। 


আরও পড়ুন...


Skin Care With Coffee: স্ক্রাব হোক বা মাস্ক, ত্বকের যত্নে ঠিক কীভাবে ব্যবহার করবেন কফি?


উল্লেখ্য়, সম্প্রতি বিক্ষোভের ভয়ে তামিলনাড়ুতে বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহ দৃশ্যত ছবিটি প্রদর্শন করতে অস্বীকার করার পরে ছবিটির পরিচালক সুদীপ্ত সেন এবং শাহ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে এমন প্রশ্নে শাহ বলেন, "আমরা এখন লাভ বা ক্ষতির বিষয়ে কথা বলব না, আমরা কেবল এটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করব যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ ছবিটি দেখেন। যদি কোনও রাজ্য সরকার বা বেসরকারি ব্যক্তি ছবিটি বন্ধ করার চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে আমরা সম্ভাব্য সব আইনি ব্য়বস্থা নেব।" প্রযোজক শাহ "দ্য কেরালা স্টোরি" কে "গুরুতর সামাজিক বিষয়" এর উপর একটি চলচ্চিত্র বলে অভিহিত করেছেন এবং তামিলনাড়ু সরকারকে মুভিটির "মসৃণ ও ন্যায্য" মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন।


অন্য়দিকে, এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী খোদ পিনারাই বিজয়ন (Kerala Chief Minister Pinarayi Vijayan)। তবে শুধু এই ছবি নয়, অতীতে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' নিয়ে বিতর্কের ঝড় তৈরি হয়েছিল। এই ছবিতে নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা ছেড়ে চলে আসার পটভূমিকায় তৈরি এই ছবি এর মধ্য়েই দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলে তুমুল আলোড়ন তৈরি করে।


তবে অনেক আগেই, দ্য কেরালা স্টোরি  ( The Kerala Story ) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সম্প্রতি দাবি রেখেছিলেন, 'ছবি মাধ্যমে সংঘ পরিবার, রাজনৈতিক লক্ষ্য প্রচারে কেরলের ধর্ম নিরপেক্ষ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।'মূলত 'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবির বিষয় নিয়ে বিতর্ক অব্যহত। অভিযোগ, ছবিটির ট্রেলরে দেখানো হয়েছে, কেরল থেকে ৩২ হাজার মহিলাকে ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে নিয়ে সিরিয়া এবং আফগানিস্তানে আইএসআই-র প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।