কলকাতা: মদন মিত্র, সৌগত রায়ের পর এবার জয়ন্ত সিংহের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল কাউন্সিলর। জয়ন্ত সিংহর তাণ্ডবে চারবছর ধরে শ্রমিক সংগঠনের অফিসেই ঢুকতে পারছেন না বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন কামারহাটির (Kamarhati Municipality) ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিমল সাহা।


সরব তৃণমূল কাউন্সিল: সৌগত রায় বলেছিলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁর কাছে হুমকি ফোন এসেছিল। বৃহস্পতিবার মদন মিত্র বলেন, বুধবার গভীর রাতে তাঁর কাছে হুমকি ফোন এসেছে। এবার খোদ কামারহাটির কাউন্সিলর অভিযোগ করলেন জয়ন্ত সিংহর জন্যই শ্রমিক সংগঠনের অফিসেই ঢুকতে পারছেন তিনি। বিমল সাহা জানান, দুষ্কৃতীদের হুমকির জেরে ২০১৪ সালে তিনি পুলিশি নিরাপত্তা পেয়েছিলেন। অভিযোগ, ২০২২ সালে নিরাপত্তা ওঠার পরই পুরসভা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রথতলা মোড়ের INTTUC-র অফিস দখল করে জয়ন্ত বাহিনী। আড়িয়াদহের ত্রাস জয়ন্ত সিংহ গ্রেফতার হতেই পরপর অত্যাচারের ভাইরাল ভিডিও সামনে এসেছে। এমনকী জয়ন্তকে না ছাড়ালে গুলি করা হবে, এমন হুমকি ফোন পেয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। প্রাণহানির আশঙ্কাপ্রকাশ করেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও। 


এর আগে দমদমের ৪ বারের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বুধবার অভিযোগ করেন, খুব খারাপ ভাষা ব্য়বহার করে বলল যে, তুই যদি জয়ন্ত সিংহকে না ছাড়াস, তাহলে তোকে গুলি করে দেব। না ছাড়ালে গুলি করবে। বলল আড়িয়াদহে গেলে গুলি করব। গতকাল মদন মিত্র জানান তাঁর কাছেও হুমকি ফোন এসেছে। তিনি বলেন, "থ্রেট কলের মূল ভাষা হচ্ছে, তুই আর বাঁচবি না। তোকে মেরে দেব। কামারহাটিকাণ্ডে তুই মুখ খুলেছিস? তুই গুন্ডাদের বিরুদ্ধে? মদের ঠেক থেকে অনেকজন রয়েছে, পরিষ্কার বাংলা ভাষায় বেউর বা তিহাড় এরকম নয়, কোনও সুবোধ সিংহ, অর্জুন সিংহ, মানে বোঝা যাচ্ছে যে, পিছনে অর্জুন সিংহের মতো লোকেরা রয়েছে।'' রাজ্য়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে বুধবার অমিত শাহের সঙ্গে সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, আড়িয়াদহকাণ্ড সহ রাজ্য়ের একাধিক ঘটনার ক্লিপিংস, অমিত শাহকে পেন ড্রাইভে করে দেন বিরোধী দলনেতা। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: West Burdwan News: প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামে সরকারি জমি, দলেরই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ TMC পঞ্চায়েত প্রধানের