মনোজ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কাঁকসা: সরকারি জমির মালিকানা তৃণমূল নেতার নামে! এমনই অবাক করা কাণ্ড ঘিরে শোরগোল পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায়। সূত্রের খবর, ওই জমিতে কৃষি দফতরের কার্যালয় ছিল। তবে প্রায় ২০ বছর ধরে ওই জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূলের বনকাটি অঞ্চলের সভাপতি বুদ্ধদেব রায় প্রভাব খাটিয়ে ওই জমির বেশ খানিকটা অংশ নিজের নামে করে নিয়েছেন। বিডিও ও BLLRO দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত প্রধান। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। দোষী হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
সরকারি কৃষি দফতরের জমির মালিকানা হয়ে গেল তৃণমূল নেতার নামে। যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের বনকাটি পঞ্চায়েত এলাকায়। কাঁকসার বনকাটি পঞ্চায়েতের প্রধান তাবাসুম খাতুন কাঁকসার বিডিও ও BLRO দফতরে অভিযোগ জানিয়েছে। কাঁকসার বনকাটিতে বাম আমলে কৃষি দফতরকে রেজিস্ট্রেশন করে জমি দান করেছিল এলাকার মুখোপাধ্যায় পরিবার। এই জমিতে কৃষি দফতর কার্যালয় তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা এই কার্যালয় থেকে পরামর্শ পেয়ে উপকৃত হত। প্রায় ২০ আগে এই কার্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকেই সরকারি এই জমিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এখনও এখানে কৃষি দফতরের কার্যালয়ের কংক্রিটের কাঠামোর দেখা মেলে। তবে কোন মন্ত্রবলে সরকারি জমি তৃণমূল নেতার নামে হয়ে গেল তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগ এলাকার সরকারি কৃষি দফতরের জমি সহ একাধিক জমি তৃণমূল নেতা বুদ্ধদেব রায় নামে হয়ে গেছে সরকারি রেকর্ডেই। যা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন এই কৃষি দফতরের থেকে এলাকার কৃষকরা বহু উপকৃত হত কিন্তু বেশ কয়েক বছর এই দফতরটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সরকারি জমি কূভাবে ব্যক্তি মালিকানা হয়ে গেল বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে সরকারি জমি যাতে সরকার ফিরে পায় সেটাই সরকারের দেখা উচিত বলে মন্তব্য তাঁদের।
যারা জমি দান করেছিল সেই পরিবারের সদস্য দেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জানান, এই জমি বর্ধমানে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে ভূমি দফতরকে দানপত্র করেছিলেন তাঁর বাবা। কিন্তু সেই জমি এখন দেখা যাচ্ছে এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তির নামে হয়ে গেছে। যাঁর নামে এই জমি রেকর্ড হয়েছে তিনি এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বুদ্ধদেব রায় (লালু) এবং তাঁর স্ত্রী বুলু রায় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। অভিযুক্ত বুদ্ধদেব রায় জানিয়েছেন রাজনৈতিকভাবে তাকে কোণঠাসা করার জন্যই কেউ চক্রান্ত করে এই কাজ করেছে। জমির মালিকানা বদলের বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: West Burdwan News: নদীতে সাদা ফেনার পাহাড়, অবাক করা কাণ্ড দুর্গাপুরে