শ্য়ামনগর: তৃণমূলে (TMC) প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই বিজেপি-র (BJP) বিরুদ্ধে সরব তিনি। লাগাতার গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করে চলেছেন। বিজেপি-তে থাকা যায় না বলে এ বার মন্তব্য করলেন ব্য়ারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ (Arjun Singh)। তাঁর কথায়, "বিজেপি-তে কেউ থাকতে পারে না। অধিকাংশ লোকজনই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে আসবেন। কিন্তু আলাদিনের প্রদীপ তো আর নয়, যে ঘরে দিলাম আর একদিনেই সকলে চলে এলেন। ধাপে ধাপে সকলেই আসবেন।"
অর্জুনকে নিয়ে মতভেদ তৃণমূলে!
অর্জুনের ফেরা নিয়ে যদিও দ্বিমত রয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে তা নিয়ে মুখও খোলেন তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। জানিয়ে দেন, দলত্যাগীদের এ ভাবে দুমদাম দলে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে সায় নেই তাঁর। দলত্যাগীদের অন্তত এক বছর বসিয়ে রাখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কাল যিনি বিজেপি-তে থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করছিলন, সেই অর্জুন তৃণমূলে এসে আজ বিজেপি-কে আক্রমণ করছেন, বিষয়টি হাস্যকর বলে উল্লেখ করেন চিরঞ্জিৎ।
একদিন আগে হলদিয়ার সভাতেও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee) এ নিয়ে মুখ খোলেন। সেখানে বিজেপি থেকে আসা কাউকে ভোটের টিকিট দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। তাতে আগামী দিনে বিজেপি থেকে হেভিওয়েট কেউ এলে তৃণমূল গ্রহণ করবে কিনা, প্রশ্ন উঠছে। তবে রাজ্যের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) কথায়, "শীর্ষ নেতৃত্ব যাঁকে নেবেন, তাঁকে দলে স্বাগত। দল নীতি নির্ধারণ করে। যাঁকে নেওয়ার কথা বলে, তাঁকে স্বাগত জানাই আমরা। এ নিয়ে কোনও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই।"
আরও পড়ুন: Bimal Gurung: গুরুঙ্গ-সাক্ষাৎ ২ বিজেপি সাংসদের, অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ
উল্লেখ্য, অর্জুন তৃণমূলে ফেরার পর সোমবারই উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas News) শ্যামনগরে বিরাট জনসভা করছেন অভিষেক। শনিবার সেই জায়গা পরিদর্শন করেন অর্জুন, জ্যোতিপ্রিয় এবং পার্থ ভৌমিকরা। ঘটনাচক্রে সোমবার থেকেই কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের আট বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশ জুড়ে প্রচারে নামছে বিজেপি। এমন পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরকে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন অর্জুন। জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছেন, দলকে বার্তা দিতেই শ্যামনগরে সভা অভিষেকের।
তৃণমূলে অর্জুনের ভূমিকা নিয়ে জল্পনা
তবে তৃণমূলে ফিরলেও, এখনও অর্জুনের দায়িত্ব ঠিক হয়নি। ব্যারাকপুরের সাংসদ পদটি ধরে রাখলেও, দলে কোন পদ দেওয়া হবে তাঁকে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। তবে অর্জুন জানিয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূলের খুঁটি যথেষ্ট মজবুত। আগের তুলনায় তাঁর উপর চাপ কমই। তাই দল যে দায়িত্বই দেবেন, নিষ্ঠাভরে তা পালন করবেন তিনি।