কমলকৃষ্ণ দে,পূর্ব বর্ধমান: ভর্তি বিতর্কে অবশেষে কাটল জল। সোমবারই সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন প্রাক্তন মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম। আগামী ১৫ জুলাই, সোমবার দুপুর ৩টে থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কাউন্সেলিং শুরু হচ্ছে। ইতিহাসে পিএইচডি করার কথা অর্ণবের। ইতিহাসে পিএইডি-র পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন তিনি। তাঁর ভর্তি নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল গত কয়েক দিন ধরেই। (Arnab Dam)


বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে পিএইচডি-র কাউন্সেলিং নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। মেধা তালিকা অনুযায়ীই ভর্তির কাউন্সেলিং হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। কাদম্বিনী গাঙ্গুলি মেমোরিয়াল হলে কাউন্সেলিং হবে। মেধাতালিকায় নাম থাকা সকল প্রার্থীকে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে। (Arnab Dam PHD Admission)


এর আগে, গত ৯ জুলাই ভর্তির কাউন্সেলিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একদিন আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কাউন্সেলিং স্থগিত করার কথা জানানো হয়। ইতিহাসে পিএইডি-র পরীক্ষায় প্রথম হওয়া অর্ণবের ভর্তি আটকাতেই এমন সিদ্ধান্ত কি না প্রশ্ন ওঠে, মাথাচাড়া দেয় বিতর্ক। সেই আবহে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দ্র জানান, অর্ণব যেহেতু সংশোধনাগারে বন্দি, তাই অফলাইন কোর্সওয়র্ক কীভাবে করবেন তিনি, নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা করা হবে, তা সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি। 


আরও পড়ুন: Madhuparna Thakur: ৩ মাস আগে বন্ধ করে দিয়েছিলেন শান্তনু, উপনির্বাচনে জিতেই তালা ভেঙে বড়মার ঘরে মধুপর্ণা


সংশোধনাগারে বন্দি অর্ণবের পড়াশোনার ব্যাপারে রাজ্য কারা দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি আছে কি না, তাও জানতে চান উপাচার্য। ইমেলে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠির উত্তর এলে সেই মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান উপাচার্য। সেই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ইতিহাসে পিএইচডি-তে ভর্তি কাউন্সেলিং নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। 


এই বিতর্কে বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্য যদিও প্রথম থেকেই দাবি করছিলেন যে, অর্ণবের গবেষণায় কোনও আপত্তি নেই তাঁদের। অকারমে জলঘোলা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বিষয়টি নিয়ে সরব হন। 


র্ণবের গবেষণায় ‘বাধা’ দেওয়া নিয়ে তাঁর দিকে আঙুল তুলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। উপাচার্য শুক্রবার দাবি করেছেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে’ কেউ কুণালকে ভুল তথ্য দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই অর্ণবের গবেষণায় বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা করে কাউকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না। পাশাপাশি, আদালতের নির্দেশ রয়েছে কি না, তাও দেখা দরকার। তাই এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করল বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে অর্ণবের গবেষণার রাস্তা খুলে গেল আপাতত।