উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, বেলঘড়িয়া : অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বেলঘরিয়ার ১৪০০ বর্গ ফুটের ফ্ল্যাট থেকে আরও যকের ধনের হদিশ পেয়েছে ইডি (Enforcement Directorate) । কিন্তু কীভাবে হল এই অপারেশন ? এবিপি আনন্দের কাছে তারই পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিলেন অর্পিতার আবাসন কমিটির সম্পাদক। যিনি আগাগোড়া হাজির ছিলেন ইডির অভিযানে।
ইডি-র অভিযানের প্রত্যক্ষদর্শী-
অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেও টাকার খনি। কেউ বলছেন ‘মিনি ব্যাঙ্ক’, কেউ বলছেন ‘কুবেরের ধন’। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় যেন ‘ক্যাশ’ কুইন। আর এসবই যিনি সামনে থেকে দেখেছেন তিনি, কামারহাটি পুরসভা লাগোয়া রথতলার ক্লাব টাউন হাইটস আবাসনের সেক্রেটারি। তাঁর উপস্থিতিতেই বুধবার রাতে তল্লাশি অভিযান চালায় ED।
আরও পড়ুন ; "রাজনীতি ছেড়ে দেব", দিলীপকে কী চ্যালেঞ্জ দিলেন সৌগত ?
রথতলার ক্লাব টাউনের সেক্রেটরি অঙ্কিত চুরুলিয়া জানান, অভাবনীয় ঘটনা দেখলাম। চোখ বন্ধ করলে শুধু টাকা দেখছি। বেসিক্যালি ভয় লাগছিল, জীবনে তো কখনও এরকম দেখিনি। গতকাল ১টা ৫-এ ঢুকেছি, আজ সকাল সাড়ে ৭টায় নেমেছি।
দরজা ভেঙে ED’র অফিসারদের ঢোকা থেকে, পাহাড় সমান টাকা উদ্ধার। টাকা গোনা, টাকা নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত,...প্রায় ১৮ ঘণ্টা, ED’র অফিসারদের সঙ্গে ছিলেন অঙ্কিত। কীভাবে হয়েছিল গোটা অপারেশন ? অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যে ফ্ল্যাট থেকে এই বিপুল টাকা উদ্ধার হয়েছে, ওই আবাসনেরই সেরকম একটি ফ্ল্যাটে পুর্নর্নিমাণ করে দেখিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে, ED’র তল্লাশি অভিযান ও টাকা উদ্ধার ঘিরেই এখন তোলপাড় রাজ্য।
প্রসঙ্গত, ইডি সূত্রে খবর, ১৮ ঘণ্টার তল্লাশিতে ক্লাবটাউন হাইটসের ১৪০০ স্কোয়ার ফিটের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও, মিলেছে ৬ কেজি সোনা। যার মূল্য ৪ কোটিরও বেশি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সোনার বাট, মুঠো মুঠো রুপোর কয়েন ও সম্পত্তির একাধিক দলিল। অর্পিতার ফ্ল্যাটে শোওয়ার ঘর ও শৌচাগার থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা ও সোনা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। মোট ৭টি ট্রাঙ্কে নগদ ও একটি ট্রাঙ্কে সোনা বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয় স্ট্র্যান্ড রোডে স্টেট ব্যাঙ্কের সদর দফতরে।
একসপ্তাহের মধ্যে টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ায় অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট মিলিয়ে উদ্ধার হল ৫০ কোটি টাকা। বেলঘরিয়ায় অর্পিতার আরেকটি ফ্ল্যাট সিল করে দিয়েছে ইডি।