কলকাতা: সিবিআই, ইডি-র পর এবার আয়কর দফতরের নজরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ এবং অর্পিতার নামে আরও বেনামী সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি আয়কর দফতরের। সেই মতো জেলে গিয়ে অর্পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা আদালতে তারা জানিয়েছে, বেনামী সম্পত্তির হদিশ পেতই অর্পিতাকে জেরা করা প্রয়োজন। (Arpita Mukherjee)


নিয়োগ দুর্নীতি মামলা তদন্তে নেমে অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় এবং প্রচুর সোনা-গয়না উদ্ধার হয়। তদন্তে পার্থ এবং অর্পিতার নামে বেশ কিছু বেনামী সম্পত্তিরও খোঁজ মেলে বলে জানা যায়। বুধবার আয়কর দফতরের তরফে ইডি-র বিশেষ আদালতে পার্থ এবং অর্পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হয়েছে। জেলে গিয়ে অর্পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন চাওয়া হয়। (Income Tax Department)


আয়কর দফতর সূত্রে খবর, একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে তাদের কাছে। পার্থ এবং অর্পিতার নামে এখনও প্রচুর বেনামী সম্পত্তি রয়েছে, যার খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করা হয় ওই চিঠিতে। সেই নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে অনুসন্ধান চলছিল। অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেশ কিছু নতুন সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সেই তথ্য়কে সামনে রেখেই অর্পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পার্থর নামে আরও বেনামী সম্পত্তি থাকতে পারে বলে খবর। 


আরও পড়ুন: West Bengal Assembly: আমাদের দুর্বল ভাবা ভুল', রাজ্যপালকে নিশানা বিমানের, শপথ জটিলতার মধ্যে কাল বিশেষ অধিবেশন


এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, "এত সময় লাগল কেন? বহু দিন ধরেই তো জেলে রয়েছেন ওঁরা! তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য জোগাড় করতে অনেকটাই সময় লেগে যাচ্ছে। আমাদেরই সরকার, আমাদের পরিচালনায় সব কিছু হতে পারে, দায়বদ্ধতাও আমাদেরই বেশি। তাই এই প্রশ্নগুলি সামনে আসে। অনেক দেরি হয়ে গেল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। দুর্নীতি করে যেখানে যেখানে টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তা সামনে আনা হোক। প্রধানমন্ত্রীর কথা মতো সেই টাকা মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।"


তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের মন্তব্য, "আমরা তো জানি, দু'বছর আগে, ২২ জুলাই, ২০২২...সেই সময় এই ঘটনা সামনে আসে, গ্রেফতারি হয়। এতদিন পর হঠাৎ টনক নড়ল কেন আয়করের? এগুলো কি মামলা দীর্ঘায়িত করার মতলব? ইডি, সিবিআই কিছু করতে পারছে না, অথচ আদালতের সময় হয়ে গিয়েছে। জামিনের প্রশ্ন রয়েছে, তদন্তে কী পাওয়া গেল, জানতে চাওয়া হবে। তাই কি হঠাৎ টনক নড়ল যে বলা হচ্ছে, আরও তদন্ত করতে হবে, বেআইনি সম্পত্তি রয়েছে! এতদিন কি ঘুমিয়েছিল?"