কলকাতা: এবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গাড়ি চালকের হদিশ। তাঁকে নিয়োগ করেন খোদ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দাবি চালকের। অর্পিতার গাড়িচালক প্রণব ভট্টাচার্যর দাবি, ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া ছিল পার্থর কর্মচারীদের। কয়েকমাস আগে মা, বোন, ভগ্নিপতিকে নিয়ে শান্তিনিকেতনের অপায় ঘুরতে যান অর্পিতা। গাড়ি চালকের দাবি, ভগ্নিপতি কল্যাণ ধরই অর্পিতার ব্যবসা সামলাতেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়ি ও বেহালা ম্যান্টনের বিধায়কের জনসংযোগ কার্যালয়েও মাঝেমাঝে যেতেন অর্পিতা। ছেড়ে দিতেন গাড়ি। প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে পার্থর সঙ্গে অর্পিতার ঘনিষ্ঠতা টের পান গাড়িচালক। চালক জানিয়েছেন, অর্পিতার সংগ্রহে ছিল মার্সিডিজ বেঞ্জ, মিনি কুপার, হন্ডা সিটি, মাহিন্দ্রার আলটুরাজের মতো দামী, বিলাসবহুল গাড়ি। চালকের দাবি, মাসতিনেক আগে আদালতে পার্থর সম্পত্তি নিয়ে হই-চই শুরু হতেই গ্যারাজ থেকে উধাও হয়ে যায় মার্সিডিজ ও মিনি কুপার।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে ২২ কোটির পর অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে! পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতার সম্পর্ক নিয়েও নানা জল্পনা চলছে!
এই অবস্থায়, অর্পিতার ফ্ল্যাটে ED’র তল্লাশি থেকে অর্পিতার গতিবিধির প্রত্যক্ষদর্শী তাঁর গাড়ির চালক এ’সব নিয়ে মুখ খুললেন। অর্পিতার গাড়ির চালক প্রণব ভট্টাচার্য বলছেন, পার্থদার বাড়িতে মাঝে সাজে যেত, আমাকে ছেড়ে দিন। শুরুতে বুঝিনি, পরে বুঝেছি ঘনিষ্ঠই হয়। পার্থদার বাড়িতে, ম্যান্টনেও মাঝে সাঝে আসত।
ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটে ED’র তল্লাশির সময়, সেখানেই ছিলেন অর্পিতার গাড়িচালক। প্রণবের কথায়, ম্যাডামের কিছু বলার অপশন ছিল না। ঢুকে বুঝলাম ইডি আছে। আমি প্রথম থেকেই ভেবেছিলাম ইডি যা জিজ্ঞেস করবে বলে দেব। আমি দেখলাম সেদিন টাকাগুলো। ইডির লোক বসিয়ে রেখেছিল। মিডিয়া বলছিল ২০ কোটি, দেখলাম ব্যাগ থেকে টাকা ঢালছে। টাকা নিয়ে কথা বলতে শুনিনি। ডায়মন্ড সিটিটে কল্যাণ আসত। ওই দেখাশোনা করত। পার্থদার কর্মচারীরা আসতো। পার্থ দা ডায়মন্ড সিটিতে কম আসতো। ডায়মন্ড সিটিতে তিনটে ফ্ল্যাট। আমি জানি ম্যাডামের কুকুর।
অর্পিতার সংগ্রহে ছিল মার্সিডিজ বেঞ্জ। মিনি কুপার। হন্ডা সিটি। মাহিন্দ্রার আলটুরাজের মতো দামি ও বিলাসবহুল গাড়ি! অর্পিতার চালকের দাবি, মাস তিনেক আগে আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়ে হই-চই শুরু হতেই গ্যারাজ থেকে উধাও হয়ে যায় মার্সিডিজ ও মিনি কুপার।
প্রণবের কথায়, গাড়ি ছিল মিনি কুপার, হন্ডা সিটি, মার্সিডিজ বেঞ্জ, মহিন্দ্রার গাড়ি, ৩ মাস ধরে মার্সিডিজ-মিনি কুপার দেখতে পাচ্ছি না। ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে যেত, কসবার অফিসে যেত, পার্লারে যেত, ডায়মন্ড সিটি ফ্ল্যাটটাই চিনি, বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে একবারই গেছি। এই অবস্থায়, অর্পিতার আর কোথায় কোথায় কী কী আছে? এখন সেগুলির হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছে ED।