বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: একটা-দুটো নয়, চুরি যাওয়া ২৭টি বাইক উদ্ধার করল খড়্গপুর লোকাল থানার পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার ২।


যা ঘটেছে...
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নানা প্রান্তে বাইক চুরির ঘটনা দীর্ঘ দিন ধরে ঘটেই চলেছে। চুরির একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়ে খড়্গপুর লোকাল থানায়। কে কী ভাবে বিষয়টি করছে, জানতে তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। সেই সূত্রেই কয়েক দিন আগে হাতেনাতে ধরা পড়ে শেখ মতি। পুলিশের দাবি, তার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি চুরি যাওয়া বাইকের হদিস পাওয়া গিয়েছিল। তার পর গত রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২৭টি বাইক উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে খড়্গপুর লোকাল থানা। সবকটিই চুরি যাওয়া বাইক। কী ভাবে এই বাইকগুলি তাদের আসল মালিকের কাছে পৌঁছনো হবে, সে দিকটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় এত দিন ধরে এই কাজ চলল কী করে? বাইক উদ্ধারের পরও সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।


কলকাতাতেও ধৃত বাইক চুরির 'পান্ডা'...
এই ঘটনা কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়। চলতি মাসের গোড়ার দিকেই মোটরবাইক চুরি চক্রের এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছিল লেকটাউন থানার পুলিশ। সেই সময় উদ্ধার হয় ৫টি বাইক। সব মিলিয়ে সেই সময় ৬টি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়। ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২। পুলিশ জানিয়েছিল গত ২৩ জুন, লেকটাউনের জয়া সিনেমা হলের সামনে একটি বাইক চুরি যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাইক চুরি চক্রের তিন পাণ্ডাকে চিহ্নিত করেছিলেন তদন্তকারীরা। গত ১ জুলাই সৌরভ ঘোষ ও গতকাল অভিজিৎ কাহার নামে চক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার করা হয়। ৫ জুলাই গ্রেফতার হয় তৃতীয় জনও। পুলিশের বক্তব্য, চুরি করা বাইক ভিনরাজ্যে পাচার করা হত। আরও কে বা কারা এই চক্রে জড়িত কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


তার মধ্যেই খড়্গপুর লোকাল থানার সাম্প্রতিক অভিযান।  


আরও পড়ুন:এবার ইডির নজরে ৩টি বাড়ি ও গেস্ট হাউস! 'মাঝে মধ্যেই আসতেন পার্থ', দাবি বাসিন্দাদের