পার্থপ্রতিম ঘোষ ও হিন্দোল দে, দিঘা: কেটেছে দুর্যোগের ঘনঘটা (Cyclone Sitrang)। সকাল থেকেই রোদ্দুর। মনোরম আবহাওয়া। উত্‍সবের দিনগুলোতে ছুটির আনন্দে মেতেছে পর্যটকরা (tourists)। ফের মিলেছে সমুদ্র-স্নানের অনুমতি। বকখালি, দিঘা, মন্দারমণিতে, সমুদ্রে নামতে পেরে, বেজায় খুশি হয়েছেন পর্যটকরা।


দুর্যোগের মেঘ কেটে ছন্দে ফিরল দিঘা, মন্দারমণি, বকখালি


ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং'-কে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে একটানা আশঙ্কার মেঘ ছিল আকাশে। মঙ্গলবার সকালে আকাশে রোদ উঠতেই ঝলমলে পরিবেশ ধরা পড়ল সমুদ্রসৈকতে। বকখালি, দিঘা, মন্দারমণিতে সমুদ্রে নামলেন পর্যটকরা। 


সোমবার দিনভর সমুদ্রে তটে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে সমুদ্র স্নানেও ছিল নিষেধাজ্ঞা। মঙ্গলবার সকাল থেকে পুরো অন্য ছবি। 'সিত্রাং' সরতেই রোদ ঝলমলে সমুদ্র সৈকত। সমুদ্র-স্নানে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় প্রশাসন। তাতেই আনন্দে মাতেন পর্যটকরা।


আরও পড়ুন: ED on Manik: মৃতের সঙ্গে মানিকের স্ত্রীর যৌথ অ্যাকাউন্ট কী করে ? বিস্ফোরক শমীক-সুজন, পাল্টা কুণাল


দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি সমুদ্র সৈকতে সকাল থেকেই, শুষ্ক মনোরম আবহাওয়া। খুলে যায় দোকান-পাট। স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে বকখালিও। এক পর্যটক বলেন, "দু'দিন আগে এসেছি। নামে পারিনি। ভাল লাগছে।" তবে দুর্যোগ সরলেও, অমাবস্যার কটালের জন্য, রয়েছে, জলস্ফীতি। তাই, নিষেধাজ্ঞা উঠলেও, কড়া নজর রাখছে প্রশাসন। 


উল্লেখ্য, কালীপুজোর রাতেই বাংলাদেশে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় সিত্রাং। তাতেই বদুর্যোগ কাটিয়ে দক্ষিণবঙ্গে পরিষ্কার আকাশের দেখা মেলে।


ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ পড়শি দেশ বাংলাদেশে


সোমবার, কালীপুজোর দিন, ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা মধ্যে, বরিশালের কাছে, তিনকোণা ও সন্দ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং'। প্রবল ঝড় ও বৃষ্টিতে বরগুনা, নড়াইল, সিরাজগঞ্জ ও ভোলা জেলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কোথাও ভেঙে পড়েছে বিশাল বিশাল গাছ। কোথাও ভেঙে গেছে ঘর-বাড়ি। আশ্রয় হারিয়েছেন অনেকে। সোমবার রাত থেকে বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুত্‍হীন হয়ে পড়ে। 


তবে বাংলা রেহাই পেলেও, বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রভাব পড়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। মঙ্গলবার, অসম, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি।  'সিত্রাং'-এর প্রভাবে লণ্ডভণ্ড অবস্থা অসমের নওগাঁয়। ভেঙে পড়ে বহু বাড়ি।