কলকাতা: মানিক ইস্যুতে বিস্ফোরক শমীক-সুজনরা। প্রতিক্রিয়া দিলেন কুণালও। আদালতে জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেল প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ফের তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠাল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। মৃত ব্যক্তির সঙ্গে মানিকের স্ত্রীর যৌথ অ্যাকাউন্ট কেন ছিল, প্রশ্ন তোলে ইডি। আর এদিন এই ইস্যুতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন শাসকদলের নেতার পাশাপাশি বাম-বিজেপি।


এদিন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, যাদের এই সরকার প্রবঞ্চনার শিকার বানিয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই অভিযোগ করছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। সুতরাং মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী-র, মৃত ব্যাক্তির সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট পাওয়া যাচ্ছে, খোঁজ করলে দেখবেন, মঙ্গল গ্রহের কোনও অজানা প্রাণীর সঙ্গে তাঁদের কোনও অ্যাকাউন্ট নাম্বার থাকতে পারে, কিন্তু মানুষ এগুলি নিয়ে আর আগ্রহী নয়। তদন্ত তদন্তের মতো চলছে। নিয়োগ অবিলম্ব হোক বলে এদিন দাবি জানান তিনি। সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'মারা গিয়েছেন যে লোক, ২০১৬ সালে , ৫-৬ বছর পরেও তার সঙ্গে যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ! তাঁতে টাকা জমা পড়ছে, ইত্যাদি, ইত্যাদি। ৪ হাজারের নামের লিস্ট । আড়াই হাজার কোটি টাকা, এইরকম টাকার বন্যা, দুর্নীতি, লুঠ বলে বলে অভিযোগ তোলেন। বলেন, অতয়েব মানিক ভট্টাচার্য , মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য।'


আরও পড়ুন, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, কল্যাণময়-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের


কুণাল ঘোষ বলেন, 'মূলত এটা এখন, তদন্তের বিষয়। এবার তদন্তকারী এজেন্সি আদালতে কী বলছে, বা লিখিতভাবে কী দিচ্ছে,  সেটার উপর দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক মন্তব্য সমীচিন হবে না। যেটা ঠিক সেটা ঠিক। যেটা ভূল, সেটা অবশ্য়ই ভূুল। এখন যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এবং তার আইনজীবী, তাঁরা তাঁদের বক্তব্য নিশ্চয়ই তদন্তকারীদের সামনে অথবা, কোর্টের সামনে জানাবেন। কিন্তু এইটুকু আশা করব, সেন্ট্রাল এজেন্সি , যারা তদন্ত করছেন, তার নিরপেক্ষতা বজায় রেখে তদন্ত করবেন, বিজেপির চিত্রনাট্য অনুযায়ী কোনও তদন্ত হবে না, এটা আমরা আশা করতে পারি।' উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ফের প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেল হেফাজতে পাঠাল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মানিক যে সরাসরি জড়িত, আর্থিক লেনদেনের জন্য নিজের ছেলে ও ছেলের সংস্থাকে ব্যবহার করেছেন, ইডি-র তরফে সেই তথ্যও আদালতে তুলে ধরা হয়। এর আগে সুপ্রিম কোর্টেও মানিকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছিল ইডি।