সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: ভোট মিটতেই আব্দুল করিম চৌধুরীর (Abdul Karim Chowdhury) সঙ্গে কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাজিয়া (KanhaiyaLaal Kajia) প্রকাশ্যে চলে এল। ছেলে ও দুই অনুগামীর হারের জন্য জেলা সভাপতিকে দুষলেন তৃণমূল বিধায়ক। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে গুরুত্ব দিতে চাননি কানাইয়ালাল (Kanhaiya Laal)।
ইসলামপুর (Islampur), তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর (Abdul Karim Chowdhury) কথায়, কানহাইয়া কী করল আমার তিনটে লোককে হারিয়ে দিল।
উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, ভিত্তিহীন অভিযোগ, হেরে যাওয়ার কারণ তো বলতে হবে তাই এমন বলছেন। পুর-নির্বাচনে তৃণমূলেরই দখলে ইসলামপুর পুরসভা!
কিন্তু সাফল্যের আবহেই বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন তৃণমূল বিধায়ক ও দলের জেলা সভাপতি। উঠেছে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ।
১৭ ওয়ার্ড বিশিষ্ট ইসলামপুর পুরসভায় এবার তৃণমূল জিতেছে ১১টিতে। নির্দল ৩, বিজেপি ২ ও সিপিএমের দখলে গেছে ১টি ওয়ার্ড। কিন্তু তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর। ছেলে ও দুই অনুগামী পুরভোটে পরাজিত হন। এই ফলের জন্য দলের জেলা সভাপতিকেই কাঠগড়ায় তোলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক।
ইসলামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর কথায়, ভোট করতে দেয়নি গন্ডগোল করেছে। পুলিশকে বলেও কাজ হয়নি। কানাইয়ালাল আগরওয়াল অবশ্য সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
কানাইয়ালাল আগরওয়ালের আরও অভিযোগ, উনি হারের পর যুক্তি খুঁজছেন। তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেবেন, দলীয় প্রার্থী ছাড়া কাউকে ভোট দেবেন না, এই প্রচারই করেছি।
তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে বিধায়কের বিরোধ প্রকাশ্যে আসার পরে, কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, উত্তর দিনাজপুর জেলার রাজনীতিতে করিম চৌধুরীর সঙ্গে কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরোধ দীর্ঘদিনের। পুরভোটে বিধায়কের অনুগামীদের পরাজয়ের পরে সেই বিরোধ নতুন মাত্রা পেল।