সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ বিশ্বাস, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : কলকাতার (Kolkata) বুকে আমফান (Amphan)-ইয়াস (yass)-আয়লার (ayla) স্মৃতি এখনও টাটকা। তার থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার তত্‍পর কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায়, সোমবার বরো চেয়ারম্যানদের নিয়ে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন পুর কমিশনার। যেখানে একাধিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


কী পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার


সূত্রের খবর, বৈঠকে পাম্পিং স্টেশনকে জলস্তরের দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। দ্রুত জল নামানোর জন্য টেম্পোরারি পাম্পেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যুত্‍-বিভ্রাটের কথা ভেবে, তৈরি রাখা হয়েছে জেনারেটর সেট। তৈরি আছে NDRF-এর ২ টো দল। শহরের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি রাখা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। 


ঝড়ের পর, কোথাও বাতিস্মতম্ভের তার ঝুলে রয়েছে কি না, ফিডার বক্সের দরজা ভাঙা কি না, এই বিষয়গুলির দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। মঙ্গল ও বুধ এই দু’দিন কলকাতা শহরের সমস্ত ত্রিফলা আলো না জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। এছাড়াও কোথাও গাছ ভেঙে পড়লে, তা কাটার জন্য হাইড্রোলিক ল্যাডার, কাটিং মেশিন তৈরি রাখার কথা বলা হয়েছে। 


বাতিল ছুটি, তৈরি একাধিক দল


মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার পুরকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এদিকে, অশনি মোকাবিলায় তৈরি করা হয়েছে ইউনিফায়েড কমান্ড সেন্টার। লালবাজারে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সিভিল ডিফেন্স, দমকল, কলকাতা পুরসভা, বন দফতর, NDRF, CESC-র প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই টিম।  দুর্যোগের কারণে, শহরের কোথাও জনজীবন বিপর্যস্ত হলে, কলকাতা পুলিশের সঙ্গে এই 6টি দফতরের কর্মীরা পৌঁছে যাবেন সেখানে। এছাড়াও, কলকাতা পুলিশের সবকটি ডিভিশনে আলাদা করে তৈরি করা হয়েছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম। সোমবার, ওয়াটগঞ্জে, গঙ্গার পাড়ে মাইকে সচেতনতা প্রচার করে কলকাতা পুলিশ। 


এদিকে, দুর্যোগ-আশঙ্কায়, ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত বিষয়ে পারদর্শীদের ছুটি বাতিল করেছে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যাতে জল না জমে, তাই, কলকাতা বিমানবন্দরের সমস্ত পাম্পিং স্টেশনে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিমানবন্দরের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার উড়বে না কোনও ছোট বিমান। আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে পরামর্শ করে পরিষেবা সচল রাখার চেষ্টা করা হবে।


আরও পড়ুন- দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি হাওড়া পুর কর্তৃপক্ষের, মঙ্গলবার থেকে চালু কন্ট্রোল রুম