সঞয়ন মিত্র, কলকাতা: অন্ধ্র  উপকূলের (Andhrapradesh Coast) আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় অশনি (Asani)। কেমন প্রভাব পড়বে বঙ্গে? আবহাওয়া দফতর (Meteorological Department) জানিয়েছে, বাংলায় ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব পড়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে আজ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Update)  রয়েছে। এর মধ্যে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মত্স্যজীবীদের (Fisherman) সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।


ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি: অশনি সঙ্কেতে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলায় জারি হয়েছে সতর্কতা। দিঘায় মেঘলা আকাশ। সকাল থেকে মাঝেমধ্যে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। সৈকতে পর্যটকদের ভিড়। তবে সমুদ্র স্নান নিষেধ। চলছে পুলিশি নজরদারি। বকখালিতেও সকাল থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। সমুদ্র-স্নানে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সৈকতে পর্যটকদের ভিড় নেই। ঘূর্ণিঝড় অশনির এখনও তেমন প্রভাব পড়েনি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমায়। গতকাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে আকাশ আংশিক মেঘলা। প্রশাসনিক তত্পরতা রয়েছে।


বিপর্যয় মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন: আয়লা, আমফান থেকে ইয়াস- বাংলার বুকে ক্ষত তৈরি করা অতীতের ঘূর্ণিঝড়গুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক রয়েছে রাজ্য প্রশাসন থেকে কলকাতা পুরসভা। লালবাজারে ইউনিফায়েড কমান্ড সেন্টার, কলকাতা পুরসভায় কন্ট্রোল রুম থেকে দমকলের কন্ট্রোল রুম- রাখা হয়েছে সব ব্যবস্থা।  শহরে জল জমা রুখতে পাম্পিং স্টেশনগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতায় নামানো হয়েছে ২ কোম্পানি NDRF। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১৫টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত সব দমকলকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকা-সহ সব ফায়ার স্টেশনগুলিকে অ্যালার্ট থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 


অন্ধ্রপ্রদেশে লাল সতর্কতা জারি: আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে ৬০, কাঁকিনাড়া থেকে ১৮০, বিশাখাপত্তনম থেকে ৩১০, ওড়িশার গোপালপুর থেকে ৫৫০ ও পুরী থেকে ৬৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। আজ সন্ধে নাগাদ পৌঁছবে অন্ধ্রের উত্তর উপকূলে। বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে অগ্রসর হতে হতেই শক্তিক্ষয় করে ক্রমশ দুর্বল হবে ঘূর্ণিঝড় অশনি। আগামীকাল সকালে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা।


আরও পড়ুন: East Midnapore News: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি, ফের বানভাসি হওয়ার আশঙ্কায় মন্দারমণির গ্রাম