বিজেন্দ্র সিংহ, মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান:  শুধু প্রচারে নিষেধাজ্ঞা বসালে হবে না। নির্বাচন পর্যন্ত গৃহবন্দি করে রাখা উচিত তৃণমূল (TMC) বিধায়ককে, মত আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি-র প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের (Agnimitra Paul)।


নরেন্দ্রনাথের উপর নিষেধাজ্ঞা নির্বাচন কমিশনের


ভাইরাল ভিডিও বিতর্কে পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর (Narendranath Chakraborty) প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (National Election Commission)। সূত্রের খবর, ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে তৃণমূল বিধায়কের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নরেন্দ্রনাথের আসানসোল লোকসভা উপ নির্বাচনের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।


তার পরই অগ্নিমিত্রা বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ, সাত দিন নয়, ওনাকে নির্বাচন পর্যন্ত হাউস অ্যারেস্ট করে রাখা উচিত।” ১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন


আরও পড়ুন: TMC vs BJP : শিশির অধিকারীকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ অখিল গিরির, রুচিবোধ নিয়ে প্রশ্ন সৌমেন্দু অধিকারীর। Bangla News


সম্প্রতি পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।সেখানে তাঁকে বিজেপি সমর্থকদের হুমকি দিতে শোনা যায়। বলতে শোনা যায়, “কট্টর বিজেপি, যাদের হেলানো যাবে না, তাদের চমকাতে হবে। বলবেন, আপনি যদি ভোট দিতে যান, তাহলে ধরে নেব বিজেপিকে ভোট দেবেন। ভোটের পর আপনি কোথায় থাকবেন, সেটা আপনার নিজের রিস্ক। আর যদি ভোট দিতে না যান, তাহলে ধরে নেব আপনি আমাদের সমর্থন করছেন। আপনি ভাল ভাবে থাকুন,  আপনি ভাল ভাবে থাকুন, ব্যবসা করুন, বাণিজ্য করুন, চাকরি করুন। আমরা আপনার সঙ্গে আছি। ক্লিয়ার?”


জনসভা এবং পথসভায় নিষেধাজ্ঞা কমিশনের


ভিডিওটি সামনে আসার পর মঙ্গলবার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় বিজেপি। এরপরই নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। বুধবার থেকে ৬ এপ্রিল রাত ৮টা পর্যন্ত কোনও প্রচার, জনসভা বা পথসভা করতে পারবেন না।


কমিশন সূত্রে খবর, যে বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে তা তৃণমূল বিধায়কেরই।নির্বাচন কমিশন মনে করছে, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বক্তব্য নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছে। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নরেন্দ্রনাথের বক্তব্য, “কমিশনের নির্দেশ পালন করব।”