মনোজ বন্দ্যােপাধ্য়ায়, আসানসোল: ভুল চিকিৎসায় ছাত্রী মৃত্যুর অভিযোগে আসানসোলের (Asansol) লালগঞ্জে তুলকালাম। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বাড়িতে হামলা, পুলিশের সামনেই ভাঙচুর। চিকিৎসকের বাড়ির সামনে ছাত্রীর মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ। সর্দি-জ্বর নিয়ে চিকিৎসা করাতে এলে টাইফয়েডের ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ। এরপরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় একাদশ শ্রেণির ছাত্রী শুক্লা মণ্ডলের। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গতকাল মৃত্যু হয় শুক্লার। এরপরই আজ সকালে মৃতার দেহ নিয়ে চিকিৎসকের বাড়িতে চড়াও হয় স্থানীয়রা।
গৃহবধূকে এলােপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে
পুরনো শত্রুতার জেরে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক গৃহবধূকে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Diamond Harbour Medical College Hospital) চিকিৎসাধীন পার্বতী রাজ।
শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ঢোলাহাট থানার মেহেরপুর এলাকায়। জখম বধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। দুষ্কৃতীকারী যুবকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। দীর্ঘদিন আগে থেকে দুষ্কৃতকারী ওই যুবকের সঙ্গে পুরনো শত্রুতা ছিল বধূর স্বামী অনুপ রাজের। অনুপ পেশায় গাড়ির চালক। কাজের সূত্রে তিনি কলকাতায় থাকেন। বাড়িতে বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে থাকতেন স্ত্রী পার্বতী। গতকাল নাতনির অসুস্থতার খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা শাশুড়ি। বাড়িতে একাই ছিলেন বধূ। অভিযোগ, বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আনুমানিক রাত ১টা নাগাদ কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা দিয়ে ওই যুবক বাড়ির ভেতরে ঢোকে। আচমকা যুবককে দেখে বধূ চিৎকার করলে ওই যুবকের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মহিলাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। মহিলা চিৎকারে আশেপাশের লোকজন বেরিয়ে এলে বেগতিক বুঝে ওই যুবক চম্পট দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় লুটিয়ে পড়েন বধূ। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঢোলাহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় বধূকে উদ্ধার করে ভোররাতে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
প্রসঙ্গত, নদিয়ায় একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল এক গৃহবধূর উপরে। বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা হলেও এখনও সেই ঘটনার আতঙ্ক তাড়া করে বেড়ায় এলাকায়। অ্যাসিড হামলায় আক্রান্ত হয়েছিলেন নদিয়ার এক গৃহবধূ। ঘড়ির কাটায় তখন রাত সাড়ে দশটা। দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পান ওই গৃহবধূ। তাঁর দাবি, দরজা খুলতেই অ্যাসিড ছুড়ে মারে স্বপন সরকার নামে এক ব্যক্তি।