আঙ্কারা : তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়ায় (Syria) ভূমিকম্পে (Earthquake) মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ হাজার পার। দুই দেশের যে দিকেই চোখ যায় কার্যত ধ্বংসস্তূপ আর ধ্বংসস্তূপ। চলছে উদ্ধারকাজ। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যেই সাহায্য পৌঁছেছে সেখানে। যদিও সর্বত্র ভারতীয় দলের প্রশংসা। ভয়াবহ ভূমিকম্পে জখমদের চিকিৎসার জন্য তুরস্কের হাতায়ায় একটি স্কুল বিল্ডিংয়ে ৬০টি প্যারা ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করেছে ভারতীয় সেনা। যেখান থেকে শুধু চিকিৎসা-ই নয়, দুর্গতদের ত্রাণও দেওয়া হচ্ছে।


ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে প্রাণের ধুকপুকুনি যতটুকু শোনা যাচ্ছিল, এখন তার সিংহভাগই স্তব্ধ। মৃতের (Death toll) সংখ্য়া এবার তীরের বেগে এগোচ্ছে। তুষারপাত (Blizzard) ও হাড় কাঁপানো ঠান্ডার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।


বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ত্রাণ পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। উদ্ধারকাজের জন্য ভারত সরকার চালু করেছে অপারেশন দোস্ত। তার অধীনেই ভারতের বায়ুসেনা উদ্ধারকারী দল, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠায়। উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জামও রয়েছে তালিকায়। এখনও পর্যন্ত ৬টি বিমান গিয়েছে তুরস্ক-সিরিয়ায়। প্রথমবার রিখটার স্কেলে ৭.৮। তারপর ৭.৬ ও তৃতীয়বার ৬.০। পরপর তিনটি ছোবল দিয়েছে দিয়েছে ভূমিকম্প। তুরস্ক যে ভূমিকম্পের প্রাণঘাতী আক্রমণের জেরে কার্যত পরিণত হয়েছে মৃত্যুনগরীতে। শুধু তুরস্কই নয়, প্রভাব পড়েছে সিরিয়াতেও।


আরও পড়ুন ; ধ্বংসস্তূপের মাঝে নতুন প্রাণ, ভূমিকম্পে মৃত মায়ের নাড়িতে জড়িয়ে জীবন্ত 'আয়া'


অপরদিকে, যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরা খাবার ও আশ্রয়ের জন্য় ঘুরছেন। ফাঁকতালে পরিজনদের খোঁজার চেষ্টা, বরাতজোরে খোঁজ পেলেও চোখের সামনে তাঁদের শেষ হয়ে যেতে দেখেছেন এমন মানুষ এখন অজস্র।


প্রসঙ্গত, ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল তুরস্কের গাজিয়ানটেপ এলাকা। যা সিরিয়া সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় প্রভাব পড়েছে সেখানেও। শুধু তুরস্ক বা সিরিয়াই নয়, প্রবল ভূমিকম্পের মাত্রা নাড়া দিয়েছে পার্শ্ববর্তী লেবানন, ইজরায়েলের মতো দেশকেও। তুরস্ক অঞ্চলে এহেন জোরাল ভূমিকম্পের আঘাত ও তার জেরে এহেন মৃত্যুমিছিল আগে কখনও হয়েছে কি না, মনে করতে পারছেন না কেউই।