কোচবিহার: কোচবিহারে (Cooch Behar) বিজেপি বিধায়কের (Attacked on BJP Leader Car)গাড়িতে হামলার অভিযোগ। আজ কোচবিহার এক নম্বর ব্লকে দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। ফেরার পথে তাঁর গাড়িতে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অস্বীকার শাসক দলের। তৃণমূলের (TMC) পাল্টা দাবি, এলাকায় আসেন না বিধায়ক। তার জেরেই সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিজেপি বিধায়ককে।
উল্লেখ্য, এর আগে কোচবিহারের বুড়িরহাটে নিশীথের কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ইস্যুতে পাল্টা মামলা করেছিল পুলিশও। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় বিজেপি নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধেই পুলিশের এফআইআর (FIR) দায়ের হয়। ঘটনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বলেছিলেন, 'তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পাথর-বোমা নিয়ে এসেছিল। কালো পতাকা দেখানোর নামে সন্ত্রাস করতে এসেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পুলিশ চাইলে দুষ্কৃতীদের আটকাতে পারত।এভাবে চলতে থাকলে বাংলার মানুষ সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে।'
পুলিশের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বলেছিলেন, 'গাড়ি লক্ষ্য করে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে।' তাঁর আরও কটাক্ষ ছিল, 'ভাবতে হচ্ছে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী আসলে কে? একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে এভাবে বাধা দেওয়ার কারণ কী।' তৃণমূলকেও নিশানা করে তিনি বলেছিলেন, 'প্রাণে মেরে দেওয়ার কথা ভাবলে স্থান-কাল জানিয়ে দিক তৃণমূল।'
নিশীথের অভিযোগ ছিল, 'পুলিশের ভূমিকা জরুরি অবস্থার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। উত্তরবঙ্গের প্রত্যেক জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। একজন রাজবংশী ছেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছে বলেই কি প্রতিশোধের আগুন? নাকি তৃণমূলের নিজেদের নেতাদের উপর বিশ্বাস নেই?' তাঁর দাবি, 'বাংলার ভবিষ্যৎ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে নিয়ে গণতান্ত্রিক ভাবে লড়াই করবে বিজেপি। সাধারণ মানুষকে উস্কানি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা ভাঙছে তৃণমূল।'
নিশীথের দাবি ছিল, 'রাজনৈতিক লড়াইয়ে পেরে না উঠে ক্ষমতা দখলের মরিয়া চেষ্টা চলছে। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত নই। বাংলাজুড়ে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মানুষ যখন জবাব দেবে, তখন তৃণমূলের পালানোর জায়গা পাবে না। বিজেপি কর্মীদের মিথ্যে অস্ত্র মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।'
আরও পড়ুন, 'একই লোক করছে' ! 'অশান্তি' ইস্যুতে কার কথা বললেন দিলীপ ?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেমেছিল তখন বিজেপি। বিভিন্ন এলাকায় থানায় থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। কোথাও হয়েছিল রাস্তা অবরোধও। বড়বাজার থানা ঘেরাও করেছিল বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। কোচবিহারের ঘোকসাডাঙাতেও থানা ঘেরাও করেছিল বিজেপি। বাঁকুড়ায় পথ অবরোধ, পুরুলিয়াতেও থানা ঘেরাও কর্মসূচি ছিল গেরুয়া শিবিরের।