পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানে (Burdwan) কৃষকদের নিয়ে মিছিলের পর মমতার সরকারকে (Mamata Govt) তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর। মূলত কৃষকদের  ন্যায্য অধিকার পাইয়ে দেওয়ার দাবির ইস্যুতে এবং সরকারের তরফে কৃষকদের বঞ্চনার অভিযোগে এদিন বর্ধমানে  কৃষকদের নিয়ে মিছিল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । 


'কালোবাজারিতে আপনাদের সার কিনতে বাধ্য করেছে মমতার সরকার'


এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আপনারা জানেন, এই রাজ্যে চার জন আলুচাষী, আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। যার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলি জেলা আছে।এই জেলাতে ধান ও আলুর উপরে কৃষকরা নির্ভর করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার, কালোবাজারিতে আপনাদের সার কিনতে বাধ্য করেছে। আর যে বিধা প্রতি জমিতে ৩৪ হাজার টাকা করে আলুচাষে খরচ করেছেন, মাত্র ২৭ হাজার টাকায় আপনাকে বিঘা প্রতি ৭ হাজার টাকা ক্ষতি করে আপনাকে বিক্রি করতে হয়েছে।আমরা এর প্রতিবাদ বিধানসভার ভিতরে করেছি।'


'প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে', বললেন শুভেন্দু


  তিনি এদিন ফের বলেন, নো ভোট টু মমতা। তাড়াতেই হবে।' এরপর কিছুটা থেমে তিনি বলেন, আমাকে নরেন্দ্র মোদি একটা দায়িত্ব দিয়েছিল। আমি জয়েন করার পরেই, মমতাকে নন্দীগ্রামে হারাতে হবে, তিনি আমায় বলেছিলেন। এরপরেই সভার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, পেরেছি না পারিনি ? এরপরেই ফের বলেন, বাকি একটা কাজ আছে, আমার একার দ্বারা হবে না। আপনাদের সাহায্য লাগবে। সেটা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। রাজি তো এরপরেই তিনি আওয়াজ তুলে বলেন, 'চোর চোর চোর, চোর ধরো।'


আরও পড়ুন, 'অন্ধকারে রেখে চিঠি দেওয়া হয়েছে,' উচ্চশিক্ষায় রাজভবনের নজরদারি প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্রাত্যর


'নো ভোট টু মমতা'


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চন্দ্রকোণার সভায় গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে নিশানা করেছিলেন। বলেছিলেন 'সাফ করতে হবে তৃণমূলকে, মমতাকে একটাও ভোট নয়।' আর এদিন তার পরনে টি-শার্টে এদিন লেখা ছিল, 'নো ভোট টু মমতা।' ফের বিতর্ক উসকে লাইমলাইটে আসে তার টি-শার্ট। আরও বলেছিলেন, ' যতদিন পর্যন্ত মমতাকে না উৎখাত করতে পারছি, ততদিন এই গেঞ্জি পরে যাব সব জায়গায়।' তারপর নতুন স্লোগান যুক্ত করেছিলেন, 'নো ভোট টু মমতা'। তবে এই স্লোগানে তিনি কতটা বিরোধীদের জড়ো করতে পারবেন, তা কিন্তু যথেষ্ট সন্দেহের। সিপিএম-কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, তারা নেই বিজেপির সঙ্গে।