সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর (হুগলি): শ্রীরামপুরে ধোবি ঘাটের পাশে একটি আবাসনের সীমানা পাঁচিল গেল গঙ্গা গ্রাসে। গঙ্গা দর্শন নামে ওই আবাসনে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট রয়েছে,সেখানে অফিস রয়েছে সাংসদের। এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে গোটা এলাকায়। 


টানা বৃষ্টিতে শ্রীরামপুরের গঙ্গার একের পর এক পার ভাঙছে। এর আগে চাতরায় কালিবাবুর শ্মশানে ধ্বস নেমেছিল। এদিন আবাসনের পাঁচিলের একাংশ ধসে পরে। বাসিন্দারা আশঙ্কা একটানা বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে যাচ্ছে তার উপর গঙ্গার জোয়ার ভাঁটার ফলে ধ্বস নামছে গঙ্গার পারে। দ্রুত মেরামতি না করলে বড় বিপদ হতে পারে বলেও আশঙ্কা।


আরও পড়ুন, পুজোর আগে রাজ্যে আসছে ২ হাজার ৮২ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ


অন্যদিকে, দফায় দফায় বর্ষণের জেরে পাঁচিল ভেঙে জখম এক ব্যক্তি। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে সালকিয়ার হরদয়াল সুরেখা লেনে। অমরনাথ দত্ত (৪৫) নামে আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে। শুধুমাত্র আজকের ঘটনা নয় বর্ষণের জেরে কিছুদিন আগে সালকিয়ার বাধাঘাট মোড়ের কাছে হুরমুড়িয়ে ভেঙে পড়ে একটি দোতলা জরাজীর্ণ বাড়ি। বর্ষাকালে হাওড়া শহরের বুকে একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। তারা চাইছেন হাওড়া পুরসভা থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।


এদিকে, রূপনারায়ণের জল ঢুকে ফের প্লাবিত হুগলির খানাকুলের একাধিক গ্রাম। কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ধান্যঘোরী গ্রামপঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। বাঁধ মেরামতি এবং ত্রাণ বিলি নিয়ে প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। এপ্রসঙ্গে বিডিওকে ফোন করা হলে, তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে।


আরও পড়ুন, স্বামীকে নিজের বাড়িতে ডেকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার স্ত্রী ও শাশুড়ি


এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা।  বন্যার ক্ষতর ওপর নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টির মার। প্রায় দেড় মাস আগে নদীর জলের তোড়ে ভেঙেছিল যে বাঁধ, জোড়াতাপ্পি দিয়ে কোনওমতে সামাল দেওয়ার চেষ্টা হলেও নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে আবার সেখানে বিপর্যয়। বাঁধ ছাপিয়ে, বালির বস্তা ভেদ করে রূপনারায়ণের জল ঢুকছে হুগলির খানাকুল দুনম্বর ব্লকের একাধিক গ্রামে। ডুবেছে ঘরবাড়ি থেকে চাষের জমি। কার্যত নদীর চেহারা নিয়েছে আরামবাগ বন্দর সড়ক। ধান্যঘোরী গ্রামপঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।