কলকাতা : দ্রুত শপথের জটিলতা কাটাতে এবার সরাসরি রাজ্যপালের কাছে আর্জি বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo)। "শপথবাক্য পাঠ করাতে দয়া করে স্পিকারকে অনুমতি দিন"। রাজ্যপালকে (Governor) ট্যাগ করে ট্যুইট বালিগঞ্জের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র।


তিনি লেখেন, বালিগঞ্জের মানুষের স্বার্থে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। সুব্রত মখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর থেকে বালিগঞ্জ বিধায়ক শূন্য। শপথবাক্য পাঠ করাতে দয়া করে স্পিকারকে অনুমতি দিন। যাতে আমি কাজ শুরু করতে পারি।


আরও পড়ুন ; বাবুলের শপথ নিয়েও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত, ফাইল ফেরত পাঠালেন ধনকড়


বাবুল সুপ্রিয়র শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য ডেপুটি স্পিকারকে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। যদিও সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার। সাংবিধানিক রীতি লঙ্ঘন করা উচিত নয় রাজ্যপালের, প্রতিক্রিয়ায় জানান অধ্যক্ষ।  


বিধায়ক পদে বাবুল সুপ্রিয়র শপথ ঘিরে ফের জটিলতা। বালিগঞ্জের জয়ী তৃণমূল প্রার্থীকে শপথবাক্য পাঠ করাতে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল। যদিও সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়েছেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।


গত ১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু এপ্রিল মাস শেষ হয়ে গেলেও, বিধায়ক পদে শপথ নিতে পারেননি বালিগঞ্জের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। মাঝে প্রথা মেনে শপথগ্রহণের অনুমতি চেয়ে পরিষদীয় দফতরের তরফে রাজ্যপালকে দু’বার চিঠিও দেওয়া হয়।


কিন্তু পাল্টা নোট পাঠিয়ে রাজ্যপাল জানান, বিধানসভা সংক্রান্ত কিছু বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে তথ্য চেয়েও তিনি পাননি। এই টানাপোড়েনের মধ্যে শনিবার সংবিধানের ১৮৮ নম্বর ধারা উল্লেখ করে জগদীপ ধনকড় ট্যুইট করে বলেন, বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার। 


এনিয়ে বাবুল বলেছিলেন, একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে জানি। এটা রাজ্যপাল ও স্পিকারের বিষয়। আমার বাবা ৬ মাসের জন্য আমেরিকা চলে গেল। ইচ্ছে ছিল শপথটা দেখে যাবে। তবে বিমানদা করালে ভাল হত।


এর আগে খড়দা, শান্তিপুর, দিনহাটা ও গোসাবা--এই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও জয়ী প্রার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য ডেপুটি স্পিকারকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু পরবর্তীকালে পরিষদীয় দফতর থেকে সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হলে, মত পরিবর্তন করেন রাজ্যপাল। শেষে ৪ নবনির্বাচিত বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।