সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল, সিপিএমের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের। এই ঘটনায় ফের একবার উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার মামা-ভাগিনা গ্রামের নাম। বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন অভিযুক্ত শান্তনু বিশ্বাসের মা।
বাগদার চন্দনের গ্রামে 'অযোগ্য' শিক্ষকের হদিশ। হাইকোর্টের নির্দেশে প্রকাশিত OMR শিটে ৯৪১ নম্বরে নাম রয়েছে শান্তনু বিশ্বাসের। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বাগদার চন্দন মণ্ডলের মামা-ভাগিনা গ্রামেই বাড়ি শান্তনুর। তিনি গাইঘাটা কলাসীমা বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের নবম-দশমে ভৌতবিজ্ঞান পড়ান। চন্দনের মাধ্যমেই শান্তনু চাকরি পান বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি গিয়ে দেখা মেলেনি শান্তনুর। তাঁর মা সাধনা বিশ্বাস জানিয়েছেন, চন্দন অনেককে চাকরি করে দিয়েছিল। ছেলেও পেয়েছিল। তবে এই চাকরিটা পরীক্ষা দিয়ে পেয়েছে। বাকিটা জানি না বলে দাবি করেছেন শান্তনুর মা সাধনা বিশ্বাস। শান্তনুর স্কুল সূত্রে জানা গেছে, DI অফিস ২০১৬-র পরে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল। এমনই দুই শিক্ষকের মধ্যে শান্তনু অন্যতম। সমস্ত তথ্য DI অফিসে জানানো হয়েছে।
OMR শিট কেলেঙ্কারিতে যখন বারাসাতের তৃণমূল নেতার ছেলের নাম জড়িয়েছে। তখন, বাগদায় একই অভিযোগ উঠল সিপিএমের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের বিরুদ্ধে। লোকে একটা চাকরি পায় না!অভিযোগ, সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে স্কুলে দু-দুবার চাকরি পেয়েছেন! প্রথমে প্রাথমিকে! তারপর হাইস্কুলে! আর, এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফের একবার শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার মামা-ভাগিনা গ্রাম।
ফের, একবার নাম জড়িয়েছে বাগদার 'সৎ রঞ্জন' ওরফে চন্দন মণ্ডলের। চন্দনের, প্রতিবেশী শান্তনু বিশ্বাস। তিনি গাইঘাটার কলাসিমা স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক। অভিযোগ, তাঁর নাম রয়েছে হাইকোর্টে জমা দেওয়া এসএসসির বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকায়। বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা দুলাল বরের অভিযোগ, শান্তনু বিশ্বাসের বাবা স্থানীয় সিপিএম নেতা। আগে তিনি, সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন।
বাড়িতে গেলেও শান্তনু বিশ্বাসের দেখা মেলেনি। এর মধ্যেই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি শোনা গেছে শান্তনু বিশ্বাসের মা।
নিয়োগ দুর্নীতিতে সিপিএমের নাম জড়ানোয় তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। শেষ অবধি নিয়োগ দুর্নীতির পরতে পরতে আর কী রহস্য় লুকিয়ে রয়েছে, সেটাই দেখার।
OMR শিট কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতার ছেলের
হাইকোর্টের নির্দেশে প্রকাশিত তালিকায় ৯০৮ নম্বরে নাম রয়েছে মহম্মদ নাজিবুল্লার। বারাসাত ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইশার ছেলে নাজিবুল্লা সোনারপুর জগদ্দল হাইস্কুলের শিক্ষক। বাড়িতে গিয়ে তাঁর দেখা মেলেনি। যদিও নাজিবুল্লার বাবা, তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইশার দাবি, কারও সুপারিশে নয়, তাঁর ছেলে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। বিরোধীরা তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা। বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।