সনত ঝা, শিলিগুড়ি: বাগডোগরা বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) রানওয়েতে (Runway)  ফের ফাটল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, এদিন  ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ  রানওয়েতে ফাটল দেখা যায়। তৎক্ষণাত বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয় মেরামতের কাজ। আজকের মতো বিমান ওঠানামা বন্ধ।


বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (Airport Authority) সূত্রে জানা যায়, এদিন সকাল রানওয়েতে গর্ত দেখা যায়। সূত্রের খবর, মোট ২৮টি বিমান ওঠানামার কথা ছিল বিমানবন্দরে (Bagdogra Airport)। এর মধ্যে ৭টি বিমান নেমেছে। বিমানবন্দর থেকে উড়েছে ৫টি বিমান। ২১টি বিমান বাতিল হয়েছে এদিন। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, মেরামত করতে প্রায় ৭ ঘণ্টা সময় লাগবে। তবে আজকের মতো বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে।সূচি মেনে আগামীকাল থেকে চালু হবে পরিষেবা।


এর আগে ১৫ মার্চ বাগডোগরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল দেখা যায়। বন্ধ হয়ে যায় বিমান ওঠানামা। জরুরি ভিত্তিতে রানওয়ে সারানোর কাজ শুরু হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানা যায়, ৪ ঘণ্টা সময় লাগবে রানওয়ে সারাতে। ওইদিন বিকেল নাগাদ স্বাভাবিক হয় পরিষেবা। অন্যদিকে ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বাগডোগরা বিমানবন্দর (Bagdogra Airport)। রানওয়ের কাজের জন্যই ১৪ দিন পরিষেবা বন্ধ থাকছে বলে জানানো হয়েছে। তবে জানানো হয়েছে, এরপর ২৬ এপ্রিল থেকে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকাল ৮-বিকেল ৫টা পর্যন্ত মিলবে পরিষেবা। আর রানওয়ের কাজ শুরুর আগেই এই নিয়ে দুবার ফাটল দেখা গেল সেখানে। 


এর আগেই ১৯ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল বিমানবন্দর (Airport) কর্তৃপক্ষের তরফে। রানওয়ে সংস্কারের জন্য শিলিগুড়ির (Siliguri) বাগডোগরা বিমানবন্দর (Bagdogra Airport) এপ্রিল মাসে ১৫ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ১১-২৫ এপ্রিল বন্ধ থাকবে বিমানবন্দর। বাগডোগরা বিমানবন্দর পরিচালনা করে ভারতীয় বায়ুসেনা। শিলিগুড়ি উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হওয়ায় এই বিমানবন্দরের গুরুত্ব বেড়েছে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বাগডোগরা দিয়ে প্রতিদিন ৩৬টি বিমান চলাচল করে। গড়ে ৮-৯ হাজার যাত্রী ওই বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে৷ ফলে বাগডোগরা বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে চিন্তায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এপ্রিল মাসে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটন ব্যবসায় তার প্রভাব পড়বে বলে তাঁদের আশঙ্কা।