পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা  : বাগুইআটি জোড়া খুনকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার । হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার সত্যেন্দ্র চৌধুরী । 



ট্রেন ধরে ভিনরাজ্যে পালানোর পরিকল্পনা
হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে । বিধাননগর কমিশনারেটের হাতে গ্রেফতার হয় সত্যেন্দ্র। সূত্রের খবর, ট্রেন ধরে ভিনরাজ্যে পালানোর পরিকল্পনা ছিল সত্যেন্দ্রর । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছয় পুলিশের স্পেশাল টিম। স্টেশনে পা দেওয়ামাত্র সত্যেন্দ্রকে পাকড়াও করে পুলিশ । 


সত্যেন্দ্র চৌধুরীর চার সঙ্গীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার
বাগুইআটিতে দুই ছাত্রের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর চার সঙ্গীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, আগে থেকেই ২ কিশোরকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল সত্যেন্দ্র। জগত্‍পুর বাজার এলাকা থেকে সে দড়িও কিনে এনেছিল।


সঙ্গীদের বলেছিল, কাজ মিটে গেলেই মোটা অঙ্কের টাকা দেবে। পুলিশ সূত্রে দাবি, খুনের পর সঙ্গীদের নিয়ে সত্যেন্দ্র কেষ্টপুর এলাকায় চলে আসে। ফেরত দেয় ভাড়া নেওয়া গাড়িটি।  সঙ্গীরা টাকা চাইলে এক জায়গায় তাদের দাঁড় করিয়ে রেখে অন্ধকার গলি দিয়ে চম্পট দেয় সত্যেন্দ্র। এ সবই ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।  


বৃহস্পতিবারের খবর অনুসারে, বাগুইআটিকাণ্ডে ঘটনার পর থেকে বারবার সিমকার্ড বদলাচ্ছিল জোড়া খুনে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। পুলিশ সূত্রে খবর ছিল, তন্নতন্ন করে সত্যেন্দ্রকে খুঁজছিল পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেট শেষ যে টাওয়ার লোকেশন পায়, তা হুগলির। ধোঁকা দিতে বারবার জায়গা বদলাচ্ছিল সত্যেন্দ্র। ঘুরছিল বিভিন্ন জায়গায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগিয়েই গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল অতনু-অভিষেক খুনের মূল অভিযুক্ত। 


বাগুইআটিতে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে খুন করা হয়। পুলিশ জানায়, চলন্ত গাড়িতেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় দু’জনকে। প্রথমে একটি মৃতদেহ ফেলা হয় বাসন্তী হাইওয়ের ধারে নয়ানজুলিতে। আরও কিছুটা এগিয়ে দ্বিতীয় মৃতদেহ ফেলা হয় হাড়োয়া এলাকায়। পুলিশের দাবি, বাইক কেনা নিয়ে টাকার লেনদেন ঘিরেই এই ঘটনার সূত্রপাত।