বৈদ্যবাটী: দিদির বার্তা, 'তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন'। করোনা আক্রান্তদের ভরসা জোগাতে ফলের ঝুড়ি নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন তৃনমূল কর্মীরা (TMC Worker)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন করোনা আতঙ্কে নয়, সতর্ক থাকতে হবে। আর সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সেই বার্তা এবং ফলের ঝুড়ি নিয়ে করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন বৈদ্যবাটী পুরসভার (Baidyabati Municipality) দশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কর্মীরা (TMC)। দিদির বার্তার সঙ্গে রয়েছে কর্মীদের আশ্বাস। তাঁরাও আশ্বাস দিয়েছেন পাশে থাকার। যে কোনও প্রয়োজনে ডাকলেই হাজির হবেন কর্মীরা। আক্রান্তদের এমনটাই বলছেন তাঁরা।


রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতার (Kolkata) সংক্রমণ চিত্র উদ্বেগজনক হওয়ার পাশাপাশি ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের বাকি সব জেলাও (District)। এই অবস্থায় রাজ্যজুড়ে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষজন কোভিড আক্রান্ত হলে তাদের যাতে ঠিকমতো দেখভাল করা যায়, সেজন্য বাড়তি উদ্যোগ নিল নবান্ন (Nabanna)। রাজ্যের প্রশাসনিক দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যজুড়ে করোনা আক্রান্ত গরিবদের (Covid affected poor people) বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়ে তাঁদের খাবার প্যাকেট (food packages) তুলে দেবে পুলিশ (Police)। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা কেউ মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও যাতে অভুক্ত না থাকেন, সেই ব্যবস্থাই নিশ্চিত করতে চাওয়া হয়েছে। মুড়ি, চাল, ডাল ও বিস্কুট দিয়ে তৈরি হবে প্রত্যেকটি খাবারের প্যাকেট। যে মর্মে আপদকালীন ভিত্তিতে রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের ব্যবস্থা গ্রহণের বার্তা দেওয়া হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে।


নবান্নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'রাজ্যে সম্প্রতি করোনার প্রকোপ বেড়েছে। তাতে রাজ্যজুড়ে একাধিক গরিব করোনা আক্রান্ত মানুষ পড়েছেন সমস্যায়। অনেকেই রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। এই অবস্থায় মুড়ি, চাল, ডাল ও বিস্কুট সহ খাবারের প্যাকেট তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এই মর্মে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সকল জেলাশাসককে জানানো হচ্ছে। খাবারের প্যাকেটগুলো পুলিশের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হবে। করোনা আক্রান্ত গরিবরাই শুধুমাত্র এই খাবারের প্যাকেট পাবেন।'