সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ফের খারিজ জামিনের আবেদন, জেলেই মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharjee)। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্যকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ইডির (ED) বিশেষ আদালত। আয়কর (Income Tax) দিলেও কেউ অপরাধের বাইরে যায় না, আদালতে সওয়াল ইডির। এছাড়াও তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, ‘৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি মিলেছে, আরও মিলতে পারে। সময়সাপেক্ষ তদন্ত, প্রতিদিন দুর্নীতির অঙ্ক বেড়েই চলছে। জটিল আর্থিক দুর্নীতি, এটা একটা ধারাবাহিক অপরাধ’।                       

  


এদিন জামিন পেতে মরিয়া ছিলেন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। তাঁর সওয়াল, ‘তদন্ত চলতেই থাকবে, আমি কতদিন জেলে থাকব? কোথাও পালাব না, তদন্তে সবরকম সাহায্য করব, আমাকে জামিন দেওয়া হোক’। যদিও সে আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। ইডির অভিযোগ, ‘কলা মন্দিরে শিক্ষক প্রশিক্ষণ শিবির, সেখানেই টাকার লেনদেন। কলা মন্দিরে একাধিক প্রশিক্ষণ শিবিরে মানিকের সঙ্গে থাকতেন মানিক-পুত্রও। মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের নামে ৫০ হাজার টাকার চেক।'                                            


আরও পড়ুন, ডিএ আন্দোলনে হাইকোর্টের কয়েকজন কর্মী গ্রেফতার, 'দুর্ভাগ্যজনক', মন্তব্য বিচারপতির


শুধু তাই নয়, ‘কলেজ থেকে তোলা তুলে টাকা দেওয়া হয়েছিল মানিক-পুত্রের সংস্থাকে। দুর্নীতির জন্য নষ্ট হয়েছে কয়েক প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট মানে বাংলার ভবিষ্যৎ নষ্ট’, প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির।                                         


এদিন মানিক ভট্টাচার্য আবেদন করেন, "তদন্ত চলতেই থাকবে, আমি কতদিন জেলে থাকব? কোথাও পালাব না, তদন্তে সবরকম সাহায্য করব, জামিন দেওয়া হোক’। অন্যদিকে, জামিন চেয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতে সওয়াল মানিক ভট্টাচার্যর আইনজীবীর। তাঁদের তরফে বলা হয়, ‘সিবিআই-ইডি তদন্ত করছে, আর কতদিন মক্কেল গারদে থাকবেন?’                   


শুধু মানিক ভট্টাচার্য-র ছেলে, স্ত্রী-র কাছেই নয় বাকি একাধিক আত্মীয়র কাছে থেকেও তা উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছুদিন আগে থিয়েটার রোডে এক আলোচনা সভার পর অল বেঙ্গল টিচার্স অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মানিক ভট্টাচার্য-র ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য-র সংস্থাকে ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়। যা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।