পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় (Bankura) কয়েকমাস ধরেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল (Elephant)। জঙ্গল (Jungle) থেকে বেরিয়ে যখন-তখন হানা দিচ্ছে লোকালয়ে। ক্ষতি করছে ফসলের। বন দফতরের (Forest Department) বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
চোখের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে হাতির পাল। লণ্ডভণ্ড হচ্ছে জমি। মুহূর্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে কষ্টার্জিত ফসল। কিন্তু অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া যেন কিছুই করার নেই। বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখী (Sonamukhi), পাত্রসায়র (Patrasayar), বেলিয়াতোড়ের (Beliator) বাসিন্দাদের অভিযোগ, এভাবেই যখন তখন লোকালয়ে হানা দিচ্ছে হাতির দল।
বন দফতর (West Bengal Forest) সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে সোনামুখী রেঞ্জে রয়েছে ৫৬টি হাতি (Elephant)। এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিত্যদিন তাঁদের ক্ষতির মুখে পড়তে হলেও উদাসীন প্রশাসন। বাঁকুড়ার বাসিন্দা তথা কৃষক শ্যামলেন্দু চৌধুরী বলেন, “পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাই না, বন দফতর হাতি সরানোর সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না।’’
দু-দিন আগেই পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) আউশগ্রাম থেকে ৬১টি হাতির দলকে, বাঁকুড়ার জঙ্গলের দিকে পাঠায় বন দফতর। বাঁকুড়ার লোকালয়ে যে হাতিগুলি হানা দিয়েছে, সেগুলিকেও একইভাবে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বন প্রতিমন্ত্রী। এবিষয়ে বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda) বলেন, আগে বছরে একবার একটা সময়ে এসে আবার ঝাড়খণ্ড বা ওড়িশা ফিরে যেত সেটা না করে এখন হাতি এই রাজ্যে থেকে যাচ্ছে। সেই নিয়ে আমরা আলোচনা করছি হাতির সমস্যার সমাধান অবশ্যই করব এবং মানুষের যাতে ক্ষতি না হয় সেটা আমরা বনদফতর তরফ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে তাড়া করে বেড়াচ্ছে আতঙ্ক। বাড়িতেও তো হানা দিতে পারে হাতির দল। এই আশঙ্কায়, প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি গ্রামবাসীদের।
আরও পড়ুন: Viral Video: কুকুরছানা বস্তাবন্দি করে ভাগাড়ে ফেলার অভিযোগ মহিলার বিরুদ্ধে, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তরজা